শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জলপদ্মে উদ্ভাসিত বোটানিক্যাল গার্ডেন

মোস্তফা কাজল

জলপদ্মে উদ্ভাসিত বোটানিক্যাল গার্ডেন

জলপদ্মফুলের সৌরভে উদ্ভাসিত রাজধানীর বোটানিক্যাল গার্ডেন। গতকাল ফুটেছে এ ফুল। এই ফুলের প্রতি মোহ নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফুলটি গ্রামের পুকুর ও বিলে দেখা গেলেও শহরে সহজে চোখে পড়ে না। এ ফুল ফোটার খবরে অনেকে ভিড় করছেন সেখানে। কবিরা বলে থাকেন, শহুরে জীবনে হঠাৎ যদি ঝিলের জলে পাপড়ি ছড়ানো জলপদ্ম চোখে পড়ে, তবে নিজেকে পরম ভাগ্যবানই মনে হবে। কিন্তু ফোটা পদ্মকে কখনো কখনো আপন নিবাসেও ঠাঁই দিতে মন চাইবে। এসব কারণে আজকাল আধুনিক বাসাবাড়ির প্রশস্ত বারান্দা, লিভিং রুম বা উঠানে বড় জলপাত্রে শোভা পাচ্ছে মোহনীয় জলপদ্ম। অনেক সময় অনেকে শখ করে জলপদ্ম কিনে আনলেও প্রয়োজনীয় যত্ন বা খেয়ালের অভাবে স্বল্প সময়ে প্রাণ হারায়। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বোটানিক্যাল গার্ডেনের সহকারী বন সংরক্ষক মজিবর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জলপদ্ম কলি থেকে ফুলে পরিণত হওয়ার পর দর্শকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ ফুল চার থেকে ছয় দিন বেঁচে থাকে।

মনে রাখা দরকার পদ্মফুলের বৃদ্ধি নির্ভর করে পানির তাপমাত্রার ওপর। জলজ এ ফুলটি একটু উষ্ণ জলেই বাড়ে। তবে তাপমাত্রা যদি ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাহলে এ জলজ উদ্ভিদ বেড়ে ওঠার জন্য আদর্শ। সাধারণত এ তাপমাত্রাতেই পদ্মপাতা ছড়াতে থাকে ও তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ফুল দেয়। ফুল দেওয়ার জন্য অবশ্য তাপমাত্রা বেড়ে ২৭ ডিগ্রিতে আসতে হয়। তাই নিয়মিত পানির তাপমাত্রা জেনে রাখা জরুরি। উদ্ভিদের বেড়ে ওঠার জন্য ঠাণ্ডা মৌসুমে ঘর গরম রাখার কথাও মাথায় রাখতে হবে। জলপদ্মের জন্য সূর্যের আলো খুবই প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জলপদ্মের পাত্রটি সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে রাখা উচিত। বারান্দা বা উঠানের পরিবর্তে যদি জলপদ্মের পাত্র ঘরের একেবারেই ভিতরে স্থাপন করতে হয় তাহলে এমন স্থানে রাখতে হবে, সেখানে যেন সূর্যের আলো সরাসরি পড়ে। জলপদ্মের মরে যাওয়া ফুল বা শুষ্ক হয়ে আসা পাতা অপসারণ করা জরুরি। তবে পানির নিচের অংশ  থেকে কোনোভাবেই পাতা বা ডাঁটা কেটে ফেলা যাবে না। কারণ  গোড়া ও কাণ্ড এ ডালকে অক্সিজেন সরবরাহের কাজে ব্যবহার করে। জলপদ্মও বিভিন্ন পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়। অবশ্য কোন ধরনের পোকামাকড় আক্রমণ করবে, তা নির্ভর করে স্থানের ওপর ভিত্তি করে। সাধারণত পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হলে সরাসরি পাতার ওপর গুঁড়া কীটনাশক ছড়িয়ে দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর