সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাংস্কৃতিক আয়োজন দিনভর

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সাংস্কৃতিক আয়োজন দিনভর

নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক, অ্যাক্রোবেটিক শোসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এসব কর্মসূচি পালন করে।

শিল্পকলা একাডেমি : শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এদিন ২০০ শিশুর অংশগ্রহণে সকাল ১১টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এর আগে সকাল ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান একাডেমির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিকাল ৩টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ছিল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দিনব্যাপী আয়োজনে আরও ছিল শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শিশুদের আনন্দযজ্ঞ, পিপলস্ লিলট থিয়েটারের পরিবেশনায় নাটক মুজিব মানে মুক্তি, শতবর্ষের শিল্পযাত্রা ক্যানভাসে শিশুদের ছবি আঁকা, শিশুদের সম্মেলক ও একক গান, গল্পে গল্পে বঙ্গবন্ধু, শিশুদের জন্য বড়দের সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠান, অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত সব গ্রন্থ সংগ্রহ ও একাডেমির গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন। একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রদর্শিত হয় ‘বাড়ি ফেরা’, ‘মন ফড়িং’, ‘সমান্তরাল যাত্রা’, আয়না, ‘ডাকঘর’ এবং ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ নামের ছয়টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র। বাংলা একাডেমি : বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান : বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো, বক্তৃতানুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। সকাল ৭টায় মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর নেতৃত্বে একাডেমির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনব্যাপী এই আয়োজন। বেলা ১১টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো শীর্ষক শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান। এতে শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনান কবি কাজী রোজী, শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন, কবি মিনার মনসুর, ডা. আবদুন নূর তুষার, ডা. নুজহাত চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। এরপর বিকাল ৫টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুবীর নন্দী, আলম আরা মিনু এবং অনন্যা আচার্য্য। মুক্তির গান : মুক্তিরগান নামের একটি সংগঠন নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। নাচ, গান, কবিতা ও অভিনয়ে সাজানো ছিল এই আয়োজন। ভিকারুন নিসা নূন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে ‘সেই অবিনাশী উচ্চারণ’ প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৫০ জন শিশুর ভাষণের ভিডিও কোলাজ প্রদর্শিত হয় বড় পর্দায়। এতে সারা দেশের প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম সাতজন প্রতিযোগী পরিবেশন করেন ৭ মার্চের ভাষণ। এর পর সাংস্কৃতিক সংগঠন বাতিঘরের শিশুশিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল নৃত্য-গীতিনাট্য ‘কখন আসবে কবি’। এতে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস ‘সাতই মার্চের বিকাল’ অবলম্বনে নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেন ‘নৃত্যম’র নৃত্যশিল্পীরা।

‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ ও ‘ঐ মহামানব আসে’সহ বেশ কয়েকটি দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা। আরও ছিল বর্ণিল আতশবাজি। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর