খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর শুধু ধর্মীয় দলগুলো নয়, অধিকাংশ দলই বিশ্রামে আছে। স্থবির হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা বলেন তিনি। ইসলামী দলগুলো কেন এক প্ল্যাটফরমে আসতে পারছে না- জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাসানাত আমিনী বলেন, ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে ইসলামী দলগুলো এক প্ল্যাটফরমে আন্দোলন করেছে এবং সাফল্যও পেয়েছে। তবে নানা হিসাব-নিকাশের কারণেই হয়তো ভোটের রাজনীতিতে তারা এক প্ল্যাটফরমে আসতে পারছে না। গত নির্বাচনের আগে আমরাও চেষ্টা করেছিলাম। তেমন সাড়া পাইনি। আশা করি, ভবিষ্যতে ইসলামী দলগুলো আবারও এক ছাতার নিচে একত্র হবে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি মাওলানা হাসানাত আমিনী বলেন, আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের অভিনয় করছে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন-সংগ্রামে কোথাও নেই। ২০-দলীয় জোট মৃতপ্রায়। সরকারের ওপর কার্যত তেমন কোনো চাপও নেই। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্তই মনে হচ্ছে। তবে এটা এমন দেশ পরিস্থিতি কখন কোন দিকে রূপ নেয়, তা নির্ণয় করা বেশ কঠিন। সংগঠনের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মরহুম মুফতি আমিনীর ছেলে মাওলানা হাসানাত বলেন, নির্বাচনের পর দলের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। একটি উন্নত ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ৩০ ডিসেম্বরের ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব দল অংশ নেওয়ায় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগের পাল্লাও কম ভারী নয়। তাই এ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক প্রহসনের নির্বাচন বলা যায়। চলমান উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, সুধীসমাজ ও ভোটারদের মধ্যে হতাশার সুর পরিলক্ষিত হচ্ছে। নির্বাচনে ভোটারদের কম উপস্থিতি ও অনাগ্রহ গোটা নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে। ইসলামী ঐক্যজোট এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশ না নিলেও এ নির্বাচন আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে বলা যায়। এখানে ক্ষমতাসীন দলের একচেটিয়া প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে না। অনেক উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী জয় পেয়েছেন। এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও জিতেছেন। বিএনপির আনুষ্ঠানিকভাবে এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দরকার ছিল। নির্বাচন বর্জন করে কার্যত বিএনপির লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হলো। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান বিশাল নয়।
শিরোনাম
- ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
- জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
- বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
- রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
- নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
- সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
- যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
- ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
- জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
- ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
- লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
- ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
- ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
- জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
- শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
দলগুলো এখন বিশ্রামে আছে
হাসানাত আমিনী, আমির, খেলাফতে ইসলামী
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর