বুধবার, ৮ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ওয়াসাকেই নিতে হবে দূষিত পানির দায়

গণশুনানিতে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়াসার দূষিত পানির ভুক্তভোগী সবাই। এর পানি নিরাপদ ও সুপেয় নয়। পানি নিরাপদ করতে গিয়ে যেসব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় তাতেই পানির গুণাগুণই নষ্ট হয়ে যায়। তাই ওয়াসার দূষিত পানির দায় ওয়াসাকে নিতেই হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘ওয়াসার নিরাপদ পানি আন্দোলন’ আয়োজিত ‘নিরাপদ পানি : ওয়াসার দাবি ও জনগণের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক গণশুনানিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

গণশুনানিতে তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকম লীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুমসহ অন্যরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বক্তব্যে বলেন, যে পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে তা কীভাবে সুপেয় আর নিরাপদ হয়? নিরাপদ পানির ব্যবস্থা থাকলে দেশে ৫০ শতাংশ অসুখ-বিসুখ কমে যেত। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ বায়ু দূষণে বিশ্বরেকর্ড করেছে, এখন দূষিত পানিতেও বিশ্বরেকর্ড করার পথে’।  

আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা ট্যাপের নিরাপদ পানি পান করতে চাই। অথচ এ পানি নিরাপদ করতে সরকার অনেক বেশি টাকা খরচ করেছে। সরকারের কর্মকর্তাদের যদি ওয়াসার পানি পান করাতে বাধ্য করানো সম্ভব হয় তবেই এ পানি সুপেয় ও নিরাপদ হবে। আমরা যেভাবে এসি ছাড়া গণপরিবহনে চলাফেরা করি সেভাবে সরকারের কর্মকর্তাদেরও এ বাতাসে শ্বাস নিয়ে এসি ছাড়া চলাচলে বাধ্য করতে হবে। মিজানুর রহমান বলেন, জুরাইনবাসী শরবত নিয়ে ওয়াসার এমডির কাছে যাওয়ার পর এসব এলাকায় পানি সংকট আরও প্রকট হয়েছে। অবিলম্বে প্রয়োজন অনুযায়ী সব এলাকায় সুপেয় পানির সরবরাহের দাবি জানান তিনি। সংগঠনের পক্ষ থেকে ওয়াসার কাছে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন মিজানুর রহমান। এসবের মধ্যে রয়েছে- পানি সংকট দূর করে নোংরা পানি যাতে না আসে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। দূষিত পানির কারণে অসুখ-বিসুখের শিকার হওয়াদের ক্ষতিপূরণ প্রদান। সরবরাহকৃত দূষিত পানির বিল ফেরত দেওয়া ও অসত্য বক্তব্যের জন্য ওয়াসা এমডির ক্ষমা প্রার্থনা।

সর্বশেষ খবর