মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভা বৈঠক

তথ্য গোপনের বিধান যুক্ত করে ট্যারিফ কমিশন আইন অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে এমন সব তথ্য গোপন রাখার বিধান যুক্ত করে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৯-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত ট্যারিফ কমিশন আইনের নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ করা হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ট্যারিফ কমিশন মূলত ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলে শুরু হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশ দিয়ে এটি শুরু করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯২ সালে এর আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনের মধ্যে কিছুটা ঘাটতি ছিল। সময়ের প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ কারণে নতুন আইন করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলা হয়। নতুন আইনে তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা সংক্রান্ত একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি খুব সংবেদনশীল। তিনি বলেন, কোনো তথ্য যদি আগেই ফাঁস করে দেয়, তাহলে এটা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বৈষম্য বা সংকট সৃষ্টি করতে পারে। নতুন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ট্যারিফ কমিশনের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টরা বাধ্য থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনে মোটা দাগে চারটি বিষয়ে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী ‘ট্যারিফ কমিশন’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ করা হয়েছে। আর ১৯৯২ সালের আইনের ৭ ধারা প্রতিস্থাপিত করে কমিশনের কাজের আওতা বাড়ানো হয়েছে। যেমন শুল্কনীতি পর্যালোচনা, আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি, ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট, জিএসপি, শিল্প-বাণিজ্য বিনিয়োগ, শুল্কনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য- এ রকম অনেক বিষয় কার্যপরিধিতে আনা হয়েছে। কার্যপরিধি ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন আইন পাস হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক নিয়োগ করা যাবে।

সর্বশেষ খবর