রিকশার জন্য আলাদা লেন তৈরিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্বাসের পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন রিকশাচালক ও মালিকরা। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন সড়কে সার্ভিস রোড ও বাইলেনে রিকশা চলাচল করতে পারবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রামপুরা ব্রিজের ওপর দিয়েও পার হতে পারবে রিকশা। গতকাল গুলশান-২-এ নগর ভবনে রিকশাচালক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। বৈঠকে সার্ভিস রোড ও বাইলেনে রিকশা চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে গতকাল দুপুরে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কে রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে দুই দিন অবরোধ করার পর আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী বলেন, ‘পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় নামব না। রিকশা মালিক-শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে মহাসড়কে আলাদা লেন তৈরির নির্দেশ দেওয়ায় আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই।’ এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের আজকের মহাসমাবেশের কর্মসূচি স্থগিত করেন তিনি। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সিদ্ধান্তে কুড়িল থেকে সায়েদাবাদ, সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে শাহবাগ এবং গাবতলী থেকে আজিমপুর পর্যন্ত সড়কে রবিবার থেকে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার মুগদা, মানিকনগর, মান্ডা, বালুর মাঠ ও কমলাপুর টিটিপাড়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। পরদিন মঙ্গলবারও তাদের দিনভর অবরোধে কুড়িল থেকে বাসাবো পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ডিএনসিসি নগর ভবনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কুড়িল বিশ্বরোড থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কের মধ্যে যেসব জায়গায় সার্ভিস রোড ও বাইলেন আছে, সেসব অংশে শুধু বৈধ রিকশা চলাচল করতে পারবে। আর কুড়িল থেকে রিকশা ইউটার্ন নিতে পারবে। এর বাইরে আর কোথাও রিকশা চলাচল করতে পারবে না। এখানে যেসব রিকশা চলবে সেখান থেকেও পর্যায়ক্রমে রিকশা বন্ধ করা হবে। রিকশাচালক ও মালিক ভাইদের নিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চাই।