শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

আদালতে মিন্নির ছবি তুলতে আসা রহস্যময় নারী কে

বরগুনা প্রতিনিধি

আদালতে মিন্নির ছবি তুলতে আসা রহস্যময় নারী কে

বরগুনার আদালত চত্বরে ভিড় ঠেলে বোরকা এবং হাতে-পায়ে মোজা পরা যে নারী নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির ছবি তুলে চম্পট দিয়েছেন তাকে নিয়ে সব মহলে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। সবার প্রশ্ন- কে ওই নারী? কী উদ্দেশ্যে তিনি ছবি তুলেছেন এবং তারপর দ্রুত সটকে পড়েছেন?

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বুধবার আদালতে মিন্নির হাজিরার দিন নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ঢুকে পড়েন হাতে-পায়ে মোজাসহ কালো বোরকা পরিহিত এক নারী। পুলিশের উপস্থিতিতে আদালতে প্রবেশের মুখে মিন্নির ছবি তুলেই দ্রুত তাকে আদালত চত্বর ত্যাগ করে চলে যেতে দেখা গেছে। আদালত চত্বরে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউই এই নারীর পরিচয় জানতে পারেননি। প্রসঙ্গত, রিফাত হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের শুনানির এই দিন নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সকাল থেকেই ইউনিফর্ম পরিহিত এবং সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় গণমাধ্যমকর্মী, আইনজীবী ও তাদের সহকারী ছাড়া সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি। এরই মধ্যে হঠাৎ পুরুষের ভিড় উপেক্ষা করে এক প্রকার ধাক্কাধাক্কি করেই মিন্নির ছবি তোলেন ওই রহস্যময় নারী। উল্লেখ্য, গণমাধ্যমকর্মীরা আদালত প্রাঙ্গণে আলাদাভাবে মিন্নির ছবি তোলেন। তবে ওই রহস্যময় নারী তাদের কেউ ছিলেন না। এ ব্যাপারে পেশাগত দায়িত্ব পালনে থাকা কয়েকজন সংবাদকর্মী বলেন, ওই নারী মিন্নির ছবি তোলার সময় যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন, তা বেশ সন্দেহজনক। হাত-পা মোজাসহ বোরকা পরিহিত ওই নারী কে তা জানা জরুরি। তারা আরও বলেন, কারামুক্ত হওয়ার আগে থেকেই মিন্নির বাবা মিন্নির নিরাপত্তাহীনতাসহ হুমকির কথা বলেছেন। এ ঘটনাটি মিন্নির নিরাপত্তা নিয়ে আবারও সংশয় তৈরি করল। মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, ‘আমি যখন মিন্নিকে নিয়ে আদালত থেকে বের হতে যাচ্ছিলাম তখম বোরকা পরিহিত ওই নারী মিন্নির কাছে এসে ছবি তোলা শুরু করেন। তাকে দেখলে একজন পর্দানশিন ধর্মপ্রাণ নারী মনে হলেও তিনি যেভাবে মিন্নির কাছে এসেছেন, সেটা তার পোশাকের সঙ্গে বেমানান। তাই আদালত প্রাঙ্গণে তার ওই কার্যকলাপ দেখে আমার সন্দেহ হচ্ছে। তিনি কেন কী উদ্দেশ্যে মিন্নির ছবি তুলে নেন? তিনি নারী ছিলেন নাকি কোনো পুরুষ বোরকা পরে নারী সেজে মিন্নিসহ আমার পরিবারের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন? এটা জানা দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।’ বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর মোহাম্মদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সর্বশেষ খবর