বুধবার, ১৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

মাছ মুরগির ওষুধের আড়ালে নেশাদ্রব্য আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুরগি ও মাছের খাবারের ওষুধের আড়ালে আমদানি হচ্ছে নেশাজাতীয় দ্রব্য। অভিনব পন্থায় এসব নেশাজাতীয় দ্রব্য আমদানির অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। আদিয়ান এগ্রো লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান গত দুই বছর ধরে ওষুধ আমদানির নামে ইয়াবা, ভায়াগ্রা, ইডিগ্রাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় সামগ্রী, মাছ ও মুরগির ওষুধের সঙ্গে গোপনে এনে বাজারজাত করত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে ঢাকার মিটফোর্ডের বেশ কয়েকটি পাইকারি ওষুধের দোকানদাররা যুক্ত রয়েছেন বলেও তথ্য পেয়েছে একটি তদন্তকারী সংস্থা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু মিটফোর্ডেরই না, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন ওষুধের দোকানিরাও যুক্ত রয়েছেন। জানা যায়, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর আগের সপ্তাহে এ ধরনের একটি নেশাজাতীয় ওষুধের চালান ধরা পড়ে চট্টগ্রাম বন্দরে। কিন্তু কৌশলে অর্থের বিনিময়ে তা ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাটি গোয়েন্দাদের নজরে আসার পর ঢাকায় ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শুরুর পর আদিয়ান এগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জামিল হোসেনসহ কর্মকর্তারা সবাই পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে এগ্রো ফিডের বিভিন্ন ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করে আসছিলেন। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারিশসহ প্রায় ২০টি মুরগির খাবার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে উচ্চমূল্যে মুরগির ওষুধ বিক্রিসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে। আর এমন অপকর্মের মাধ্যমে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এসব কাজের সঙ্গে ডা. জামিল হোসেন ছাড়াও তার স্ত্রী ডা. প্রদীপ এবং শফিকুর রহমান নামে কয়েকজনের সিন্ডিকেট জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এরা সবাই ওই কোম্পানির পরিচালক।

সর্বশেষ খবর