পর্যটনশিল্পের উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টরা এখন হা-হুতাশ করছেন বলে জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তাদের অন্যতম সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান। তিনি বলেছেন, মহামারী করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে আপাতত পর্যটনশিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তবে দেশের মানুষের হাতে টাকার সরবরাহ বাড়লে স্থানীয় পর্যটনশিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে আগামী দিনগুলোতে অভ্যন্তরীণ পর্যটনে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, চলমান করোনাভাইরাস মহামারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনশিল্প। যে কোনো দুর্যোগে সবার আগে আঘাত আসে পর্যটন খাতে। আবার সেই আঘাত ঘুচেও সবার পড়ে। আসলে জনজীবন যখন স্বাভাবিক হবে, স্বস্তি ও শান্তিময় হবে, তখনই ঘুরে দাঁড়াবে পর্যটনশিল্প। পর্যটন খাতের এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমাদের পর্যটনশিল্পে ১৬টি উপখাত রয়েছে। করোনাকালে এই খাতগুলোর উন্নয়নে আমরা একটা নীতি-কৌশল বা এসওপি গ্রহণ করেছি। এখন স্থানীয় পর্যটনশিল্পে নজর রাখব। যদিও আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। শুধু কুয়াকাটায় সীমিত আকারে খোলা রয়েছে। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সিভিল এভিয়েশন ও পর্যটনবিষয়ক স্থায়ী কমিটির এই সভাপতি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আপাতত পর্যটনশিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই বলেই মনে হচ্ছে। তবে আগামীতে অভ্যন্তরীণ পর্যটনে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
যদিও স্থানীয় পর্যটকরা ভালো নেই। হাতে টাকার সরবরাহ কম। তারপরও যদি পর্যটকরা বেরুতে পারেন, তবেই হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা সচল হবে। আসলে মানুষের হাতে টাকার সরবরাহ বাড়লেই তারা ঘুরতে বেড়াবেন। লকডাউন প্রত্যাহার হলেই মানুষ ঘুরতে বেড়াবে না। আগামীতে এক কোটির বদলে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ঘুরতে বেড়াবে।
মো. রাফেউজ্জামান আরও বলেন, পর্যটনশিল্পের উদ্যোক্তা আর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন নিদারুণ কষ্টে আছি। সবার অফিস বন্ধ। অথচ পর্যটনশিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। গত বছর জিডিপিতে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ অবদান রেখেছে এই পর্যটনশিল্প।