বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

আসছে এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা এবার হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ থাকায় পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির এবারের সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের অনুমোদন চেয়ে প্রস্তাব যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এক ক্লাস থেকে অন্য ক্লাসে অটোপ্রমোশন, সিলেবাস কমানোসহ আরও কিছু বিষয়ও থাকবে এ প্রস্তাবে। সরকারের অনুমোদন পেলে এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। এদিকে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক গতকাল এই প্রতিবেদককে বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা তো নিতেই হবে। চলমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। কবে নাগাদ এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সম্প্রতি মুখ্য সচিবের সঙ্গে একটি সভা হয়েছে। ওই সভার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করেছি। আগামী সপ্তাহে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে এবার আর এই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে না। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট (বেডু) চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি সুপারিশ দিয়েছে। এর মধ্যে জেএসসি-জেডিসি না নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। এসব পর্যালোচনা করব আমরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় কী তা নিয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়সূত্র জানিয়েছে, বেডু পরীক্ষা নিয়ে ছয়টি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অটোপ্রমোশন, সিলেবাস কমানোসহ আরও কিছু বিষয় থাকবে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে কোনো মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে কেমন ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে এ ব্যাপারে সিনারি ম্যাপিং করেছে বেডু। পরীক্ষাগুলো কীভাবে নেওয়া যেতে পারে সে ব্যাপারেও প্রস্তাব দিয়েছে তারা। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে দুই সমাপনী পরীক্ষা না হলেও করোনার এ সময়ে স্কুল খোলা গেলে পঞ্চম ও অষ্টমের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ওই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেই এ দুই শ্রেণিতে বৃত্তি দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) বিশেষজ্ঞরা ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি তৈরির কাজ করছেন। সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হলে কী হবে এবং অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু করা গেলে কীভাবে পাঠদান ও পরীক্ষা নেওয়া হবে সেভাবে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তারা।

সর্বশেষ খবর