বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক

৩৩৪ কোটি টাকার চার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫ হাজার টন সার আমদানিসহ মোট ৩৩৪ কোটি ৪০ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৩ টাকা ব্যয়ের চার ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ ছাড়া সিঙ্গেল কোম্পানি দরদাতা হওয়ায় একটি ক্রয় প্রস্তাব বাতিল করে ক্রয় কমিটি। গতকাল অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, সভায় অনুমোদনের জন্য মোট ৪টি প্রস্তাব এবং বাতিলের জন্য ১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রোজেক্ট (ডিসিএনইউপি) প্রকল্পের জন্য ৫টি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৪৩  কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৪২ টাকা। এ ছাড়া সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের দুটি প্রস্তাব ছিল। দুটি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুড়িয়া জাতীয় মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরাংশ ৪-লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৪১ কোটি ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬০৪ টাকা। অর্থমন্ত্রী জানান, সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অপর প্রস্তাবে ‘শরীয়তপুর (মনোহরবাজার)-ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের পূর্ত কাজ সম্পাদনে একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ায় ক্রয়-প্রস্তাবটি বাতিলের জন্য উত্থাপন করা হলে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আবার নতুন করে ক্রয়কার্য পুনঃপ্রক্রিয়া করে নতুন প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের অধীন ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (ডিএপিএফসিএল)-এর জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৯৭ লাখ ৪২ হাজার ২০০ টাকা।

দেশব্যাপী রাস্তা নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে : ফসলি জমি নষ্ট করে যত্রতত্র রাস্তা নির্মাণ আর নয়। পরিকল্পিত উপায়ে দেশব্যাপী রাস্তা নির্মাণের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হবে।  গতকাল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিছু কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক হারে ব্যয় হয়, যা নিয়ে গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পে অস্বাভাবিক ব্যয় হয় এটা কোথায় পেলেন? মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অন্য একটা বিষয়ে অবজারভেশন রেখেছেন। সেটা হচ্ছে রাস্তাগুলোর কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে হবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মেইনটেইনের দিকে নজর দিতে বলেছেন। নতুন রাস্তা করে দেশের ফসলি জমি নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, হয়তো তিন কিলোমিটার সেভ করতে গিয়ে পুরো রাস্তা ফসলি জমির ওপর দিয়ে যাচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটাকে আরও জোরদার বা অর্থবহ করার জন্য সারা দেশে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হবে। বর্তমানে দেশে কী পরিমাণ রাস্তা আছে, আর আগামী ১০, ২০ বা ৫০ বছরে কত রাস্তা করতে হবে মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো থাকবে। এদিকে দেশে খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক অকার্যকর হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

সর্বশেষ খবর