বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী এলাকা এবং গভীরসাগরে ফিশিং বোট ও ট্রলারে আশানুরূপ রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। তাই চট্টগ্রাম তথা দেশের প্রধান মাছের আড়ত ‘ফিশারি ঘাট’সহ প্রায় সব ঘাট এখন ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে। এতে পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মুখে যেমন হাসি দেখা দিয়েছে, তেমনি সাধারণ ক্রেতাদেরও বেশ সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়ায় দামও নাগালের ভিতরে থাকায় এবার সব শ্রেণির মানুষই কমবেশি কিনতে পেরেছেন ইলিশ- এমন সংবাদ দিয়েছেন ফিশারীঘাটের আড়তদাররা। নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার ফিশারীঘটা ছাড়াও রাসমনি ঘাট, আনন্দবাজার ঘাট, উত্তর কাট্টলি, দক্ষিণ কাট্টলি, আকমল আলী ঘাটেও গত চার-পাঁচ দিন ধরে শুধু ইলিশ আর ইলিশ। এ ছাড়া জেলার বাঁশখালী, মিরসরাই, আনোয়ারা, সনদ্বীপ ও সীতাকুন্ডের উপকূল এলাকায়ও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে ডিম ছাড়ার সময় এগিয়ে আসায় আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের জন্য সাগরে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে এটাই শেষ জোঁয়া বা তিথি ইলিশের। নিষেধাজ্ঞা শেষের পরপরই শীতের আমেজ চলে আসবে বলে উপকূলীয় এলাকায় তখন আর ইলিশ ধরা পড়বে না বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। তাই নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগে এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় বেজায় খুশি জেলেরা। বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের চোখে-মুখে এখন হাসির ঝিলিক। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের ইলিশকেন্দ্রিক অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার ইলিশ কেনাবেচা হচ্ছে। ডিম ছাড়ার মৌসুমে ইলিশ ও অন্যান্য সময় জাটকা শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং প্রশাসনের নজরদারির কারণে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় দিন দিন ইলিশ বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। চলতি অর্থবছরে শুধু ইলিশ থেকে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি আয় হবে বলে তারা জানান। যেখানে প্রতিদিন রাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টায় মৌসুমভেদে ৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। চট্টগ্রামের এ ফিশারি ঘাটে আড়ত রয়েছে প্রায় ২২০টি। অন্যদিকে পুরান ফিশারি ঘাটে রয়েছে ৬৮টি আড়ত। ফিশারি ঘাটের আড়ত শাহজাহান এন্টারপ্রাইজের এক কর্মকর্তা জানান, দু-এক দিন আগেও ফিশারীঘাটে ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা প্রতি মণ, মাঝারি আকারেরটা ১৩ হাজার থেকে সাড়ে ১৩ হাজার এবং বড় আকারের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা প্রতি মণ। তবে মাছের পরিমাণ কিছু কমে আসায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইলিশ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের এ কর্মকর্তা। সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর ফিশারীঘাটকে ঘিরে কর্ণফুলী নদীর তীরে এবং ভাসমান অবস্থায় রয়েছে ইলিশভর্তি সারি সারি ট্রলার ও ফিশিং বোট। ওইসব ট্রলার থেকে নামানো হচ্ছে ইলিশ আর ইলিশ। কখনো টুকরি (ঝুড়ি) ভর্তি করে কখনো বা ভ্যানগাড়ি করে বোট থেকে ইলিশ নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আড়তে। সেখানে বড় বড় ওজন মেশিনে ওজন করার পর সেসব মাছ আকার ভেদে পৃথক করে কেউ প্যাকেট করছেন, আবার কেউ সেই প্যাকেট দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে তুলে দিচ্ছেন ট্রাকে। এভাবে রুপালি ইলিশ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে।
শিরোনাম
- শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
- মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
- ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
- বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ইলিশে সয়লাব ফিশারিঘাট
ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর