গাজীপুরের শ্রীপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে ত্বিন ফলের। ত্বিন ফল বাংলাদেশে ডুমুর হিসেবেই বেশি পরিচিত। ইংরেজিতে ত্বিন ফলকে বলা হয় The Fig। বৈজ্ঞানিক নাম ficus carica L. (Moraceae) genus ficus। সৌদি আরবে এই ফলকে ত্বিন নামে ডাকলেও ভারত, তুরস্ক, মিসর, জর্দান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে এটি আঞ্জির নামে পরিচিত। আঁটি ও বিচিহীন বিচিত্র কালারের দৃষ্টিনন্দন ফল, দেখতে আকর্ষণীয় ও সুমিষ্ট রসালো স্বাদযুক্ত। ফলটি আবরণ সহকারেই খাওয়া যায়। পবিত্র কোরআনের ত্বিন সুরায় বর্ণিত মিষ্টি ও সুস্বাদু এই ফল বাংলাদেশের মাটি-আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ত্বিন ফল বছরের ৩৬৫ দিনই উচ্চ ফলন দিয়ে থাকে। রোগবালাই নেই বললেই চলে। চারা লাগানোর ৩-৪ মাসের মধ্যেই ফল দেওয়া শুরু করে। একটি ত্বিনগাছ ৮-১০ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। শ্রীপুরে ভাংনাহাটি গ্রামের হাজি আবদুস সাত্তার এগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নিউট্রিশন নামের প্রতিষ্ঠানটি প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে ত্বিন ফলের চাষ করেছেন। ফার্মের ম্যানেজার মেহেদি হাসান জানান, এখানে মিসরীয় ব্রাউন, সৌদি ইয়োলো জাতের প্রায় ৩ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে। গাছ কাটিং করে প্রস্তুত করেছেন কলমের চারা। সেই চারা চাষিদের মধ্যে বিক্রি করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা। এখন প্রায় প্রতিটি গাছেই ফল আসা শুরু করেছে। সহজেই চাষযোগ্য এই গাছের সুস্বাদু ফলের দামও ভালো। এই ফলের বাজার মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ১ হাজর টাকা। ১-৫ পিস পর্যন্ত প্রতিটি চারার মূল্য ৫০০ টাকা, ৬-১০ পিস নিলে প্রতিটি চারার মূল্য ৪০০ টাকা এবং ১০টির অধিক চারা ক্রয় করলে প্রতি পিস চারা ৩০০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। প্রতি মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকার চারা বিক্রি করা হয়, চাহিদা অনুযায়ী চারা দিতে পারেন না বলেও জানান তিনি। আপাতত প্রতি মাসেই ৬০-৭০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করেন, প্রতি মাসেই গাছে ফলন বাড়বে এবং যত দিন যাবে ততই ফলের বিক্রিও বাড়বে। ত্বিন ফল দিয়ে জ্যাম, জ্যালি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। এর মধ্যে আছে কার্বোহাইড্রেটেড, সুগার, ফ্যাট, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালশিয়াম এবং আয়রনসহ নানাবিধ পুষ্টিগুণ। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এটির বহুবিধ ঔষধি গুণও রয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এস এম মূয়ীদুল হাসান জানান, ফলটা পবিত্র হিসেবে পরিচিত। তাই মানুষের আগ্রহ বেশি। এ ফল চাষের সুবিধা হচ্ছে চারা লাগানোর ৩-৪ মাসের মধ্যেই ফল চলে আসে। সারা বছরই এ ফল পাওয়া যায়। ফলটা দুইভাবে সংগ্রহ করা যায়। ড্রাই করে ও ফ্রেশ ফল হিসেবে। আমাদের কৃষকরা এ ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। উৎপাদন বাড়াতে পারলে এ ফল আর আমদানি করতে হবে না। ফলে দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, ত্বিন ফল বাংলাদেশে নতুন। এটি সাধারণত মরু অঞ্চলে হয়ে থাকে। ডুমুর জাতীয় ফল এটি। ত্বিন ফলের চাষ কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল এটি। এ ফল চাষে কৃষকরাও লাভবান হবেন।
শিরোনাম
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
- স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধের খবরে দুশ্চিন্তায় চরাঞ্চলের প্রসূতিরা
- ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করেছে সরকার
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
- বিএম কলেজের প্রশাসনিক ভবনে তালা
- আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
- দল নিবন্ধন : আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ইসির ৭ কর্মকর্তা
- বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মতবিনিময় সভা
শ্রীপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ত্বিন ফল
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর