মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সপ্তাহব্যাপী বিশ্বসংগীত দিবসের অনুষ্ঠানমালা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সপ্তাহব্যাপী বিশ্বসংগীত দিবসের অনুষ্ঠানমালা

গতকাল ছিল বিশ্বসংগীত দিবস। প্রতি বছর নানা আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। তবে এবার করোনা মহামারীর কারণে গতবারের মতো উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে ভার্চুয়ালি দিবসটি পালন করছে বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ। দিবসটি পালনে সাত দিনব্যাপী অনলাইন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

‘সংগীত হোক বৈশি^ক মহামারী নির্মূলের হাতিয়ার’ স্লোগানে আলোচনা ও সংগীতাসরের মধ্য দিয়ে গত রাত সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ তাদের ফেসবুক পেজে https://www.facebook.com/groups/2635285070125355 শুরু করে অনুষ্ঠানমালা। সপ্তাহব্যাপী এ আসরে রাজধানী ঢাকার ৪০টি সংগীত সংগঠন অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন একজন করে সাত দিনে সাতজন সংগীতজ্ঞ অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে অংশ নেবেন। রবীন্দ্রসংগীত, অতুলপ্রসাদের গান, নজরুলসংগীত, আধুনিক গান, দেশপ্রেমের গান, গণসংগীত ও লোকসংগীত প্রতিদিন একটি করে সাত দিনের আয়োজন সাজানো থাকবে সাতটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে। প্রতিদিন রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠানমালা।

প্রথম দিনের আলোচনায় সংগীতের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী তপন মাহমুদ। এদিনের সংগীত পর্ব সাজানো হয় রবীন্দ্রনাথের গান দিয়ে। এতে নানা সময়ের গান পরিবেশন করেন রবিরশ্মির শিল্পী মহাদেব ঘোষ, গানের খেয়ার অপর্ণা খান, নন্দনের স্বপন দত্ত, সুরের ধারার সারোয়ার হোসেন বাবু, বাফার ফারজানা ইয়াসমীন লুনা, উত্তরায়ণের মৌমিতা মমি ও গীতাঞ্জলির সানজিদা রহমান। এতে প্রত্যেক শিল্পী দুটি করে সাতজন শিল্পী রবীন্দ্রনাথের ১৪টি গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে মহাদেব ঘোষ পরিবেশন করেন ‘গ্রাম ছাড়া এই রাঙা মাটির পথ ও আকাশভরা সূর্যতারা’, স্বপন দত্ত গেয়ে শোনান ‘তুমি যত ভার দিয়েছ ও আমার না বলা বাণী’, অপর্ণা খানের কণ্ঠে গীত হয় ‘বিশ্ব সাথে যোগে যেথায় বিহার ও আমারে পাড়ায় পাড়ায় ক্ষেপিয়ে’, সারোয়ার হোসেন বাবু পরিবেশন করেন ‘বিশ্ব যখন নিদ্রা মগন ও তোমার খোলা হাওয়া’, ফারজানা ইয়াসমীন লুনা গেয়ে শোনান ‘তোমায় গান শোনাব ও বসে আছি হে কবে শুনিব’, মৌমিতা মমির কণ্ঠে গীত হয় ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই ও নীলাঞ্জন পুঞ্জ ছায়ায়’ এবং সানজিদা রহমান পরিবেশন করেন ‘অমল ধবল পালে ও নিদ্রাহারা রাতের এ গান’। কবিগুরুর কথা ও সুরের ভার্চুয়াল জগৎকে সুরের রাজ্যে পরিণত করেন শিল্পীরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর