বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা পূজামণ্ডপ ছিল জমজমাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরা পূজামণ্ডপ ছিল জমজমাট

বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজামন্ডপে অষ্টমী উপলক্ষে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। ঢাকের বাদ্য, আলোকসজ্জায় উৎসব ছিল জমজমাট। গতকাল পূজামন্ডপ পরিদর্শনে এসেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তারা মন্ডপে পৌঁছালে বসুন্ধরা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের সিইও নঈম নিজাম, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী এবং বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব প্রাচীন ধর্মীয় উৎসবের একটি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব এই দুর্গাপূজা। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা সবাই মিলে উৎসবে শামিল হব। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে উৎসব আনন্দে আমরা  সবাই অংশগ্রহণ করি। আমি দুর্গাপূজাতে ঢাকও বাজিয়েছি। সবাই মিলে ধর্মনিরপেক্ষ এ দেশকে গড়ে তুলতে হবে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় মহাশ্মশান না থাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অসুবিধা হতো। এ জন্য মিরপুরে পাইকপাড়ায় মহাশ্মশান তৈরিতে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজ প্রায় শেষ। খুব দ্রুত উদ্বোধন করা হবে।

পূজামন্ডপ পরিদর্শনে এসে ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ১৫-২০টি পূজামন্ডপে আমি গিয়েছি, দেখেছি সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ। কুমিল্লার একটি ঘটনায় কিছু কুচক্রী মহল গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। আপনারা নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করেন, নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। দশমী পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের সব মন্ডপে আমরা পুলিশ মোতায়েন করেছি। আপনাদের গায়ে হাত দেওয়ার আগে আমাকে আঘাত করতে হবে। বসুন্ধরা পূজামন্ডপের এই আয়োজনে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের ঢল নেমেছিল। বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় মন্ডপ প্রাঙ্গণ ছিল উজ্জ্বল এবং সমবেতদের পদচারণায় সরব। ধূপ ধুনুচিতে সন্ধ্যা আরতি ছিল উপভোগ্য। এ আনন্দের সময়কে স্মৃতির পাতায় তুলে রাখতে ছবি তোলায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন তরুণ-তরুণীরা। পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পবিত্র সরকার বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব প্রাণবন্ত করে তুলতে আমরা চেষ্টা করেছি। মহামারীর কারণে সর্বোচ্চ খেয়াল ছিল স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখায়। মানুষের অংশগ্রহণে সপ্তমী থেকেই মন্দিরে উৎসব জমজমাটভাবে চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর