শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

কোথাও নেই লঞ্চের টিকিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণবঙ্গের লঞ্চের কেবিনের টিকিট মিলছে না কিছুতেই। ২৬ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কেবিনের টিকিট যেন হাওয়া হয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ ঘোষিত তারিখেও পাওয়া যায়নি এসব টিকিট। অভিযোগ আছে, অনিয়মের মাধ্যমে গোপনে ঘোষিত সময়ের আগেই টিকিট বিক্রি করে দিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। অন্যদিকে ২৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ডবল ট্রিপ শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বরিশাল-ঢাকা সরাসরি এবং ভায়া রুটে ২৮টি অত্যাধুনিক বিলাসবহুল লঞ্চ বহরে থাকবে বলে জানা গেছে। ডবল ট্রিপ দিয়ে যাত্রীচাপ সামালের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একেকটি তিন-চার তলাবিশিষ্ট, লিফটসংবলিত অত্যাধুনিক লঞ্চ চলাচল করে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে। বিলাসবহুল এসব লঞ্চে বিভিন্ন ক্যাটাগরির একটি কেবিনের ভাড়া সর্বনিম্ন ১৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মোট ২২টি লঞ্চে কেবিনের সংখ্যা সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার। কিন্তু ঈদের আগাম টিকিট বিক্রির শুরুর দিনেই কেবিনের টিকিট বিক্রি শেষ। তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছেন, সক্ষমতার চার গুণ বেশি চাহিদা ছিল টিকিটের। বরিশালের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার পরিচালক শেখ আবদুর রহিম জানান, লঞ্চে আড়াই থেকে ৩ হাজার কেবিন আছে। তবে এর চাহিদা রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার। একাধিক লঞ্চের মালিক ও ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই প্রায় সব লঞ্চের কেবিনের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু ডেকযাত্রীদের টিকিট রয়েছে। এগুলো ‘আগে এলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে দেওয়া হবে। তারা বলছেন, ডেকযাত্রীদের ঈদযাত্রায় সমস্যা হবে না, এখন অনেক লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করে। ঘোষিত তারিখের আগে কীভাবে কেবিনের টিকিট বিক্রি শেষ হলো- এ প্রশ্নে লঞ্চ মালিক, লঞ্চ মালিক সমিতি বা লঞ্চের ব্যবস্থাপকরা জানান, সাধারণ সময়ে টিকিট কেনার জন্য টার্মিনালে যেতে হয় না, ফোনে লঞ্চের ব্যবস্থাপককে বলে দিলে তিনি বুকিং করেন বা টিকিট কিনে রাখেন। পরে তারা এসে টাকা পরিশোধ করেন। সেখানেই যাত্রীদের সঙ্গে সারা বছরের একটি সম্পর্ক হয় এসব বুকিং মাস্টারের। সে সম্পর্কের খাতিরেই ঘোষিত সময়ের আগেই গোপনে বেশির ভাগ কেবিনযাত্রী ঈদের অগ্রিম টিকিট করে নিয়েছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর