শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
শাহজালাল বিমানবন্দর

ই-গেটে মিনিটেই ইমিগ্রেশন পার

আলী আজম

ই-গেটে মিনিটেই ইমিগ্রেশন পার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৪টি স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বা ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। ৭ জুন ই-গেট চালু করা হয়েছে। এ গেট ব্যবহার করে ই-পাসপোর্টধারী যাত্রী মিনিটেই ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কারও কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। ফলে এ গেট ব্যবহারকারী নির্বিঘ্নে এবং দ্রুততার সঙ্গে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে বিদেশ যেতে বা আসতে পারবেন। ই-গেটে প্রথম ধাপে পাসপোর্ট তথ্য যাচাই, দ্বিতীয় ধাপে ছবি শনাক্ত এবং তৃতীয় ধাপে এসবি পুলিশ ভিসা যাচাই করলে ইমিগ্রেশন শেষ হবে। শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়াও শাহ আমানত বিমানবন্দর, ওসমানী বিমানবন্দর, বেনাপোল স্থলবন্দর, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ই-গেট চালু করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি) সূত্রে জানা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে ৭ জুন ই-গেট চালুর পর থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ৯ হাজার ৫৬১ যাত্রী এ গেট ব্যবহার করে বিদেশ গেছে এবং ২ হাজার ৮৬৭ জন যাত্রী বিদেশ থেকে এসেছে। কোনো ত্রুটি বা ঝামেলা ছাড়াই তারা ই-গেট ব্যবহার করে বিদেশ গেছেন এবং এসেছেন। শাহজালাল বিমানবন্দরের আগমন (অ্যারাইভেল) গেটে ১২টি ও বহির্গমন (ডিপারচার) গেটে ১২টি; শাহ আমানতে আগমন গেটে ছয়টি ও বহির্গমন গেটে ছয়টি; ওসমানী বিমানবন্দরে আগমন গেটে ছয়টি ও বহির্গমন গেটে ছয়টি; বেনাপোল স্থলবন্দরে আগমন একটি ও বহির্গমন একটি; বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আগমন একটি ও বহির্গমন একটি ই-গেট বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, স্থলবন্দর ও সব দেশীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হবে। ঢাকা থেকে ব্যাংককগামী সায়মা রেজা নামে এক যাত্রী জানান, দেশে ই-গেট প্রথম ব্যবহার করছি। এর আগে বিদেশে ই-গেট ব্যবহার করেছি। দেশে ই-গেট চালু হওয়ায় আমি খুশি। দ্রুত সময়ে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন শেষ করেছি। ঢাকা থেকে অস্ট্রেলিয়াগামী রাগিব আহসান জানান, লেখাপড়ার উদ্দেশে বিদেশ যাচ্ছি। ই-গেট প্রথম ব্যবহার করলাম। অল্প সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন করলাম। প্যারিস থেকে ঢাকায় আসা সোহেল জানান, বিদেশে একাধিকবার ই-গেট ব্যবহার করলেও দেশে প্রথমবার ই-গেট ব্যবহার করলাম। দেশ অনেক এগিয়েছে, ই-গেট তার প্রমাণ। কানাডা থেকে ঢাকায় আসা মাইদুল জানান, ই-গেট ব্যবহার করে অনেকটা স্বস্তি লাগছে। ডিআইপির ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বলেন, ১৫ থেকে ১৮ সেকেন্ডে দুটি ধাপে ই-গেট পার হওয়া যাবে। প্রথম ধাপে ই-পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করা হবে এবং দ্বিতীয় ধাপে যাত্রীর ছবি শনাক্ত হবে।  ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি জোরদার হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পর্যায়ক্রমে দেশের সব আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ই-গেট স্থাপন করা হবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের অগ্রিম তথ্য সিস্টেম (এপিআইএস) চালু হলে যাত্রীরা অনেক কম সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। আশা করছি আগামী এক বছরে এটি চালু করা সম্ভব হবে। পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) এসপি (ইমিগ্রেশন)  মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপনের ফলে এসবি ইমিগ্রেশন পুলিশের কার্যক্রম সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। শুধু ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম ম্যানুয়াল সম্পন্ন করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর