ঢাকার মূল সড়কে আর কোনো ধরনের রিকশা চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। বিশেষ করে ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার রাজধানীর আসাদগেট এলাকায় ডিএনসিসি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যৌথ অভিযানে অংশ নিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, 'অভ্যন্তরীণ সড়ক ছাড়া ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না। অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশার উৎপাদন ও চার্জিং পয়েন্টগুলো বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে ডেসকোর সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।'
তিনি জানান, একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সড়কে ঘটে যাওয়া মোট দুর্ঘটনার ২০ শতাংশই এই অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে হচ্ছে। এতে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ছে। এসব রিকশা কোনো ধরনের নীতিমালা ছাড়াই তৈরি হওয়ায় সড়কে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, 'বুয়েটের সহায়তায় ইতোমধ্যে নিরাপদ ব্যাটারিচালিত রিকশার ডিজাইন তৈরি হয়েছে এবং কিছু নির্ধারিত কোম্পানিকে তা উৎপাদনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এই মাসের মধ্যেই ডিএনসিসি রিকশা চালকদের জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে যারা উত্তীর্ণ হবেন, কেবল তারাই বৈধ লাইসেন্স পাবেন।'
তিনি আরও জানান, 'একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কেবল একটি রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হবে। এতে রিকশা নিয়ে চলমান অবৈধ বাণিজ্যও বন্ধ হবে। বৈধ রিকশাগুলো নির্দিষ্ট এলাকায় চলবে এবং এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল করতে পারবে না। নির্ধারিত ভাড়ার ব্যবস্থাও করা হবে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে।'
ডিএনসিসি ও ডিএমপির যৌথ অভিযানে মঙ্গলবার আনুমানিক ৩০টি অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা জব্দ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা, ট্র্যাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, ডিএমপি ও ডিএনসিসির অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/মুসা