থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বরখাস্ত করেছে। সাবেক কম্বোডিয়ান নেতা হুন সেনের সাথে ফাঁস হওয়া ফোনালাপের কারণে তিনি পদত্যাগের চাপে ছিলেন।
পেতংতার্ন তাকে চাচা বলে সম্বোধন করেছেন এবং একজন থাই সামরিক কমান্ডারের সমালোচনা করেছেন। এই ক্লিপটি জনসাধারণের ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তাকে বরখাস্ত করার জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে, যা আদালত এখন বিবেচনা করছে।
এর ফলে পায়েতংতার্ন হলেন শক্তিশালী সিনাওয়াত্রা বংশের তৃতীয় রাজনীতিবিদ যিনি তাদের মেয়াদ শেষ করার আগেই ক্ষমতা হারান।
দুই সপ্তাহ আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণশীল মিত্র ক্ষমতা ত্যাগ করার পর তার ক্ষমতাসীন জোট ইতিমধ্যেই ক্ষীণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
গত মে মাসে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত এক সীমান্ত অঞ্চলে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নের সঙ্গে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের ফোনের আলোচনা ফাঁস হলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
ফোনালাপে পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের এক সেনা কর্মকর্তার সমালোচনা করেন এবং হুন সেনকে ‘আংকেল’ বলে ডেকে তাঁর প্রতি অতিমাত্রায় নমনীয় আচরণ করেন বলে জনগণের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়। এরপরই পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নামেন মানুষ। সাংবিধানিক আদালতে পিটিশন দায়ের করা হয়।
সাংবিধানিক আদালতে আজ মঙ্গলবার ভোটাভুটি হয়। আদালত ৭-২ ভোটে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত দেশের ভারপ্রাপ্ত নেতার দায়িত্ব পালন করবেন।
থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনীর প্রকাশ্যে সমালোচনার সুযোগ নেই বললে চলে। কারণ, দেশটির সেনাবাহিনী রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক প্রভাব বজায় রেখে আসছে। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল