নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়ে অবস্থানরত শহর ও বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘কদমরসুল সেতু’ বিদ্যমান নকশা অনুযায়ী দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে ‘শীতলক্ষ্যা সেতু বাস্তবায়ন নাগরিক আন্দোলন’ ব্যানারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, একটিমাত্র সেতুর অভাবে যুগের পর যুগ ধরে বন্দরবাসী ঝড়বৃষ্টি ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও নাগরিক সেবা পেতে নদী পারাপারে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও সদর ও বন্দর সংযোগের জন্য সেতুটি বাস্তবায়িত হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্প্রতি ৫ নম্বর ঘাট এলাকা দিয়ে একটি সেতু নির্মাণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি শহরের যানজটের ভুয়া অজুহাত দেখিয়ে প্রকল্পটির বিরোধিতা করছেন, যা জনগণের কল্যাণে বড় বাধা।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সেতুর কাজ বন্ধ করে বন্দরবাসীকে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। যানজটের মতো সমাধানযোগ্য সমস্যাকে অজুহাত দেখিয়ে ৫ নম্বর ঘাট দিয়ে নির্মাণাধীন কদমরসুল সেতুর কাজ বন্ধ করার চেষ্টাকে জনস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন তারা। লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান নকশা অনুযায়ী দ্রুত সেতুর কাজ বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘কদমরসুল সেতুর টেন্ডার ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে জমি সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। আমরা আশা করছি দ্রুত এই জটিলতা নিরসন করে বিদ্যমান নকশা অনুযায়ী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।’
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন এস এম আব্দুস সালাম, আবুল কালাম আহমদ, মো. মাঈন উদ্দিন মানিক, অ্যাডভোকেট মো. শরীফুল ইসলাম শিপলু, ডা. ফারুক হোসেন, কাজী সুজন, হাজী শাকিল, মো. আলমগীর, অ্যাডভোকেট আসিফুজ্জামান ও এমকে মামুন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ