আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মেহেরপুরের-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে বেড়েছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। প্রায় প্রতিদিনই চলছে গণসংযোগ, মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠক ও শুভেচ্ছা বিনিময়।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিব ও সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ এবং মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম। এদিকে জামায়াতে ইসলামী আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির জেলা আমির মাওলানা তাজউদ্দিন আহম্মেদ এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মেহেরপুর জেলার সভাপতি প্রভাষক খাদেমুল ইসলামকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দিন আহম্মেদ নিয়মিত : সভাসমাবেশ করছেন, পাশাপাশি নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। অসহায়দের মধ্যে সেলাই মেশিনসহ নানা উপহারও বিতরণ করছেন। অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও মাঠে সক্রিয়। অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান গ্রামেগঞ্জে গণসংযোগ করে তুলে ধরছেন তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি। সাবেক এমপি মাসুদ অরুণ বিভিন্ন সভাসমাবেশে অভিযোগ তুলছেন, বর্তমানে বিএিনপির বিভিন্ন কমিটিতে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। তিনি কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে সভাসমাবেশ, মিছিল গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় দল। এখানে মনোনয়নের প্রতিযোগিতা থাকবেই। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তার হয়ে কাজ করবে।’ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন জানান, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর থেকে জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি এসেছে।’ অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদের তৎপরতা তেমন দেখা যাচ্ছে না। তাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীদেরও এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির দাবি, তারা মাঠে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে।