চুরি মানেই কি অপরাধ? নাকি কখনো কখনো চুরির আড়ালে লুকিয়ে থাকে আরও গভীর কোনো গল্প? এমনই এক ব্যতিক্রমী ভাবনা নিয়ে নির্মাতা মহিদুল মহিম হাজির হয়েছেন নতুন নাটক ‘চোর’ নিয়ে। সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম ক্যাপিটাল ড্রামাতে অবমুক্ত হয়েছে নাটকটি। নাটকের নাম শুনেই মনে হতে পারে, এটি হয়তো শুধুই হাস্যরসের কাহিনি। কিন্তু নির্মাতা জানালেন ভিন্ন কথা। ‘চোর’ একদিকে যেমন কমেডির ছোঁয়া রাখে, অন্যদিকে ইমোশনাল টানাপোড়েন আর একাধিক স্তরের গল্পে তৈরি করে আবেগময় আবহ। বসুন্ধরা হাউজিং নিবেদিত ‘চোর’ নাটকটি একটু ভিন্ন স্বাদের। কমেডি ও ইমোশনাল আবহে তৈরি এ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় দুই মুখ মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল। গল্পের শুরুতে হালকা হাস্যরসে ভরা কনফ্লিক্ট, ধীরে ধীরে তা মোড় নেয় এক মর্মস্পর্শী সমাপ্তির দিকে। দর্শক তাই যেমন হেসেছেন, তেমনি আবেগে মোড়ানো শেষ দৃশ্যে স্থবির হয়ে থেকেছেন।
নাটকটির দৃশ্যধারণ হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে একটি হাউস বোট ঘিরে। সেই ভাসমান জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চরিত্রগুলোর দ্বন্দ্ব, চাওয়া-পাওয়া এবং ‘চুরি’র ভিতরে লুকিয়ে থাকা গভীর জীবনদর্শন। এ নিয়ে কেয়া পায়েল বলেন, ‘নাটকটি একেবারেই অন্যরকম। কমেডি রয়েছে, ইমোশন রয়েছে, আর আছে শেষ দৃশ্যে একটা দারুণ মেসেজ। এ নাটকটির শুটিং হয়েছে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে। খুবই সুন্দর একটি গল্প। গল্পের মধ্যে অনেক মজার সিন রয়েছে এবং লাস্টে একটা সুন্দর মেসেজ আছে। শুটিংয়ের সময় বৃষ্টির ভিতরে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, কিন্তু কাজটা দেখে মনে হচ্ছে সব পরিশ্রম সার্থক।’ এর আগে ক্যাপিটাল ড্রামাতে ‘অনেক দিন পরে’ নাটকে কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন কেয়া। ‘চোর’ তাঁর দ্বিতীয় কাজ এবং এতে তিনি বেশ আশাবাদী। অন্যদিকে মুশফিক আর ফারহানের মতে, ‘গল্পে যে মোড় রয়েছে, সেটা দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে। ক্যাপিটাল ড্রামার কাজ মানেই একটা ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা।’ নাটকটির গল্প ও চিত্রনাট্যও নির্মাতার নিজস্ব চিন্তায় লেখা। দৃশ্য গ্রহণ করেছেন নাঈম ফুয়াদ, কস্টিউম ও স্টাইলিংয়ে ছিলেন মেসফির আয়াজ নিরব, সম্পাদনা ও রং সংযোজনে আরিফিন সরকার এবং সংগীতের জাদুতে ছিলেন আভরাল সাহির। নাটকে দুটি গান ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে কণ্ঠ দিয়েছেন আরফান মৃধা শিবলু, মাশা ও আভরাল সাহির। এর মধ্যে ইশতির মিউজিকে গেয়েছেন আরফান মৃধা শিবলু। ক্যাপিটাল ড্রামার হেড অব কনটেন্ট আনোয়ারুল আলম সজল বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি ভিন্ন লোকেশন ও নতুন কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করতে।
অনেক দিন পরে, প্রিয় প্রজাপতি, চলো হারিয়ে যাই, দেরি করে আসবেন, উইশ কার্ড, মিথ্যে প্রেমের গল্প, খোয়াবনামা এরপর ফান্দা-একের পর এক ধারাবাহিক সাফল্যের পর প্রকাশ হলো নতুন নাটক ‘চোর’। টাঙ্গুয়ার হাওরের মতো জায়গায় হাউস বোটে শুটিং-এটা ছিল এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।’ সব মিলিয়ে ‘চোর’ শুধু একটি নাটক নয়, এটি একটি অভিজ্ঞতা। যেখানে হাসির ফাঁকে ভেসে আসে জীবনের গভীর কিছু প্রশ্ন। নাটকটি বর্তমানে ক্যাপিটাল ড্রামার ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে, আর দর্শকও দিচ্ছে ইতিবাচক সাড়া।