জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দেওয়া হলে এর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না করার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। তিনি লেখেন, ‘শাপলা প্রতীক যদি তাদের (এনসিপি) দিয়ে দেয়, এর বিরুদ্ধে কোনো মামলা করব না। মাহমুদুর রহমান মান্না পোস্টে আরও লেখেন, আমাকে যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে শাপলা না দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর কাউকে দিতে পারেন না। ওরা (এনসিপি) আমার কাছে এসেছিল। যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়সের কারণে, অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদি। শাপলা প্রতীক যদি তাদের দিয়ে দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি- আমি এর বিরুদ্ধে কোনো মামলা করব না।
অন্যদিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি প্রতীক বেছে নিতে এনসিপিকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার বিধিমালায় না থাকায় এনসিপির পছন্দের তালিকায় রাখা প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এনসিপিকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠান।
চিঠিতে জানানো হয়, এনসিপি তাদের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল এবং তা প্রাথমিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। তবে তাদের পছন্দের প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী বরাদ্দ করা সম্ভব নয়, কারণ বর্তমান প্রতীকের তালিকায় এটি নেই। এনসিপির আবেদনপত্রে প্রতীকের ক্রমানুসারে শাপলা, কলম ও মোবাইল উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ৯(১) অনুযায়ী প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত প্রতীকের তালিকায় ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ অবস্থায় দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০৮ (১) (খ)-এর বিধান সম্পর্কে অবগত করা হয়। ওই বিধি অনুযায়ী, কোনো দল কর্তৃক মনোনীত সব প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত প্রতীক থেকে পছন্দকৃত যে কোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এভাবে বরাদ্দকৃত প্রতীক দলটির জন্য সংরক্ষিত থাকবে। যদি না দলটি পরবর্তীতে অন্য কোনো প্রতীক লাভে ইচ্ছা প্রকাশ করে।
এ জটিলতা নিরসনে নির্বাচন কমিশন এখন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ৯ (১) অনুযায়ী ইসির দেওয়া প্রতীকের তালিকা থেকে এখনো বরাদ্দ হয়নি এমন একটি প্রতীক দ্রুত পছন্দ করে নিতে বলেছে। চিঠিতে দলের নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পছন্দের একটি প্রতীক আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে কমিশনকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।