মিরপুর টেস্টকে অনায়াসে মুশফিকুর রহিমের টেস্ট বলা যায়! মুশফিকের টেস্ট বলার রয়েছে শত কারণ। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার ক্লাবে নাম লিখেছেন মুশফিক। আবার শততম টেস্ট রাঙিয়েছেন তিন অঙ্কের জাদুকরী এক ইনিংস খেলে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিন বিশ্বের ৮৪তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট ক্লাবে নাম লেখেন ৩৮ বছর বয়সি মুশফিক। গতকাল দ্বিতীয় দিন ১১তম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেন। মুশফিকের এমন উজ্জ্বল দিনে আলো ছড়িয়েছেন লিটন দাস। টি-২০ অধিনায়ক খেলেছেন সেঞ্চুরির ইনিংস। ‘সিনিয়র কলিগ’ মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে দেশের পক্ষে রেকর্ড ১০৭ রানের জুটি গড়েছেন। ১২৮ রানের ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ৩ হাজারি ক্লাবে নাম লিখেছেন উইকেরক্ষক ব্যাটার লিটন। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩ হাজারি ক্লাবে নাম লিখেছিলেন হাবিবুল বাশার। টেস্ট ক্রিকেটে ৩ হাজারি ক্লাবে বাংলাদেশের ছয় ক্রিকেটার রয়েছেন। ১০০ টেস্টে মুশফিকের রান ৬৪৫৭, তামিম ইকবালের রান ৭০ টেস্টে ৫১৩৪, মুমিনুল হকের রান ৭৫ টেস্টে ৪৭৭২, সাকিব আল হাসানের রান ৭১ টেস্টে ৪৬০৯, লিটনের রান ৫২ টেস্টে ৩১১৭ ও হাবিবুল বাশারের রান ৫০ টেস্টে ৩০২৬। লিটন ৫২ টেস্টের ৯০ ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচটি ও হাফ সেঞ্চুরি ১৯টি। ছক্কা মেরেছেন ২৩টি ও চার মেরেছেন ৩৭৪টি। টেস্টের প্রথম দিন লিটন অপরাজিত ছিলেন ৪৭ রানে। গতকাল প্রথম সেশনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। লাঞ্চের আগে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রানে। সেঞ্চুরি করেন ১৫৮ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায়। তিনি আউট হন ১২৮ রানে। ১৯২ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। সিলেটে প্রথম টেস্টে আইরিশদের বিপক্ষে করেছিলেন ৬০ রান।