ভারতকে হারিয়ে বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। শেষ ভালো যার সব ভালো তার। এখন নতুন বছরে বাংলাদেশ কতটুকু ভালো করতে পারবে সেটাই প্রশ্ন। সিঙ্গাপুরের মাটিতে সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে যদি বছরটা শুরু করতে পারে তা হবে আনন্দের। মার্চে খেলা, ধরে নেওয়া যায় এখন যারা জাতীয় দলে খেলছেন তারাই বছরের শুরুতে খেলবেন। নতুনভাবে কেউ আসতে পারেন বা বাদ যাবেন, এই যা। হামজা, সামিত, জায়ান, ফাহমিদুল এমনকি কিউবা মিচেলও দলে থাকবেন তা নিশ্চিত। নতুন প্রবাসী খেললেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কে খেলবেন বা খেলবেন না তা বড় প্রশ্ন নয়। নতুন বছরে কোচের পরিবর্তন আসবে কি না তা নিয়েই আলোচনা শুরু হয়েছে। বর্তমান কোচ হাভিয়ের কাবরেরার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। নতুন বছরের প্রথম ম্যাচে নতুন কোচ থাকবেন নাকি কাবরেরাকেই রেখে দেওয়া হবে? বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়ালই বলেছিলেন ভারত ম্যাচ পর্যন্ত কাবরেরা থাকবেন। বাফুফের দুই নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকাশ্যে বলেছিলেন, এই কোচ দিয়ে দলের মান উন্নত হবে না। অবশ্যই নতুন কোচের সন্ধানে নামতে হবে। সুতরাং কাবরেরাকে না রাখার চাপ রয়েছে। ভারত ম্যাচের পর কাবরেরাকে যে রাখা হবে না, তা নিশ্চিত ছিল। এখন আবার ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় এসেছে। যে জয়ের জন্য ২ কোটি টাকার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। জয়টা এসেছে কাবরেরার প্রশিক্ষণে। অনেকে বলছেন, আগে যাই হোক না কেন, ভারতের বিপক্ষে ঠিক কৌশল কাজে লাগিয়েছেন কোচ। এতে বোঝা যায় তার কাজে ফুটবরপ্রেমীরা সন্তুষ্ট। তার পর আবার মানের প্রেক্ষাপটে বছরটা একেবারে খারাপ বলা যাবে না। আট ম্যাচের মধ্যে দুই জয়, দুই হার ও চার ম্যাচ ড্র করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে আবার পাঁচটি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে। ঢাকায় সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে হারলেও পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। দুটি জয় এসেছে প্রীতি ম্যাচে ভুটান ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে। অ্যাওয়ে ম্যাচে এশিয়ান কাপে ভারত ও হংকংয়ের বিপক্ষে ড্র করেছে। যে হংকং এক সময়ে বাংলাদেশকে নিয়ে ছেলে খেলা করত, তাদেরই ঘরের মাঠে ড্র করাটা কম প্রাপ্তি নয়। কাঠমান্ডু ও ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দুটি ড্র হয়েছে। এক কাঠমান্ডু ছাড়া প্রতিটি ম্যাচ ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। হামজা, সামিত, ফাহমিদুল, জায়ান ছাড়া এশিয়ান কাপে চূড়ান্ত পর্বে না ওঠা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচই তো ভালো খেলেছে। শেষের দিকে গোল খেলে এখানে কোচের আর কী করার আছে। কাজী সালাউদ্দিন সভাপতি থাকা অবস্থায় কাবরেরাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড়ও উঠেছিল। কারণ অতীতে জাতীয় দল তো দূরের কথা। ক্লাব পর্যায়েও হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেননি কাবরেরা। আর তিনিই কি না প্রায় তিন বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ ৩৭ ম্যাচে ১০ জয়, ১০ ড্র ও ১৭ ম্যাচে হেরেছে। এ পরিসংখ্যান অতীত কোচের চেয়ে ভালো না মন্দ। আবার কাবরেরার অধীনেই অনেক দিন পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছে। কাবরেরাকে রাখা হবে কি না এটা বাফুফের ব্যাপার। তবে তাকে ঘিরে অতীত ও বর্তমান মিলিয়ে অনেক হিসাব করতে হবে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়?
শিরোনাম
- জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যুতে ভয়াবহ আগুন
- দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
- তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
- রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
- নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
- ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
- সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
- তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
- ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০
- ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
- রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
- চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
- বেগম রোকেয়ার সুলতানা’স ড্রিমের বাংলা নাট্যরূপ মঞ্চস্থ করল আইইউবি থিয়েটার
- ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৩২ শতাংশই ৫-২৯ বছর বয়সী’
- টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
- চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
- কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
এক জয়ে কি টিকে গেলেন কাবরেরা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর