রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬০ ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিতেই শূন্য বিভাগীয় প্রধান বা অধ্যাপক (বিশেষজ্ঞ) চিকিৎসক। এতে রোগীদের চিকিৎসাসেবা এবং ইন্টার্নদের শিক্ষণে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বলা যায় মারাত্মক সংকটের মুখে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। এ পদগুলো পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে হাসপাতালের রোগী ও চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যেও আছে অসন্তোষ। এ ছাড়া আরও দুটি ওয়ার্ডে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দুজন অধ্যাপক অবসরে যাবেন। তখন এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩ জনে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র মতে, উত্তরবঙ্গের চিকিৎসা ক্ষেত্রে রাজশাহী একটি অন্যতম হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত। এমনকি দক্ষিণ বঙ্গেরও, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন হাজারো রোগী। প্রতিদিন গড়ে এ হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয় ৫ হাজার রোগীকে। আর ভর্তিকৃত রোগী থাকে গড়ে ৩ হাজার। কাগজে-কলমে এ হাসপাতালটি ১২ শ শয্যার হলেও সেখানে জনবল আছে ৫০০ শয্যার। এতে করে এমনিতেই চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক-নার্সদের।
এনিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সর্বশেষ গত ১৫ মে চিঠি দিয়ে এসব পদ পূরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমেদ। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর পরও ২১টি ওয়ার্ডে অধ্যাপক বা বিভাগীয় প্রধান শূন্য থাকায় চিকিৎসাসেবাতেও মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এর ওপর জুনিয়র এবং মিডলেভেলের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ এবং এফসিপিএসের সংকট তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অবগত করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ফলাফল আসেনি। তার পরও আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’