শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

মুজিব ও হাসিনার পতন : শোক বনাম মুক্তি দিবস!

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
মুজিব ও হাসিনার পতন : শোক বনাম মুক্তি দিবস!

শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে তার ভূমিকা ও অবদানকে যদি কোনো ব্যক্তি-পক্ষ বিতর্কিত করে থাকে, সেজন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী তার কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ। শেখ মুজিব কোনো অবতার, এমনকি মহামানব ছিলেন না। একজন মানুষ ও রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি মানবিক ভুলত্রুটি’ সমালোচনার ঊর্ধ্বে ছিলেন না। তিনি অজাতশত্রুও ছিলেন না। তার অপঘাত মৃত্যুই বড় প্রমাণ যে তিনি নিজেকে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার উৎস এবং জনগণের ভাগ্যবিধাতা বিবেচনা করে প্রচুর শত্রু সৃষ্টি করেছিলেন। বাড়াবাড়ি, দুঃশাসন, রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষতা সত্ত্বেও দাম্ভিকতার কারণে কাছের লোকজনেরও বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। তারাই তার হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা ঢাকায় ছিলেন ওই দিনটির সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা দলে দলে রাস্তায় নেমে আসেন। হত্যার প্রতিবাদ জানাতে নয়, আনন্দ প্রকাশ করতে। এত বিশাল একজন রাজনৈতিক নেতা, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ওই সময়ের রেসকোর্স ময়দানে তার ভাষণ শুনে যারা পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে উজ্জীবিত হয়েছিল, তার অনুপস্থিতিতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল এবং পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে যেভাবে বীরোচিত সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করেছিল, তার প্রতি সেই শ্রদ্ধা-ভক্তি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে কতটা ঘৃণায় পর্যবসিত হলে তার হত্যাকাণ্ডকে আনন্দ উচ্ছ্বাসে উদযাপন করতে পারে সে দৃশ্য যারা দেখেননি তাদের কাছে তা হয়তো বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তার অপশাসন, বিরুদ্ধবাদীদের নিপীড়ন গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণকারী ‘বাকশালী’ স্বৈরশাসন চাপিয়ে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ঘৃণার বিস্ফোরণ ঘটেছিল। জনগণ তাদের একসময়ের পূজনীয় নেতার মৃত্যুতে শোকের অশ্রুপাত না করে নাজাত দিবস পালন করেছিল।

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু২০২৪ সালের ৫ আগস্ট নিজের জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনা ও তার প্রিয়ভাজনদের পলায়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রথম ও একমাত্র পলায়ন কাহিনি নয়। নিজেদের বিপদ আসন্ন দেখলেই তারা পালায় এবং যারা পালায় তারাই বাঁচে। শেখ মুজিবের মৃত্যু দিবসেও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সব অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পঁচাত্তরে ১৫ আগস্ট দলে দলে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। শেখ মুজিবকে তার যেসব রাজনৈতিক সঙ্গী সহ্য করতে পারেননি এবং তার জীবৎকালে মুখ পর্যন্ত খুলতে পারেননি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সিঁড়িতে গড়িয়ে পড়া শেখ মুজিবের রক্ত জমাট বাঁধার আগেই মুজিবমুক্ত বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বে ব্যক্তিগতভাবে শেখ মুজিব যত ভুলই করে থাকুন সেজন্য তাকে হত্যা করা, হত্যার ঘটনায় আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার মতো ঘটনাগুলোকে আমি স্বাভাবিক বিবেচনা করতে বা মানতে পারি না। যদিও একটি হাদিসে আছে যে- কোনো মৃত মুসলিমের প্রতি যদি নিন্দাসূচক মন্তব্য করে তার মৃত্যুতে স্বস্তির প্রকাশ হিসেবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ উচ্চারণ করা হয়, তাহলে মৃতের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যায়। আর যার প্রতি প্রশংসাসূচক মন্তব্য করা হয়, সে মৃতের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারি ১৩৬৭)। যেহেতু শেখ মুজিবের নিন্দা ও প্রশংসা করার লোকজন এখনো রয়েছে সেজন্য তিনি জাহান্নামে বা জান্নাতে যাবেন সে সিদ্ধান্ত একান্তই মহান সৃষ্টিকর্তার। যদিও শেখ মুজিবের দুঃশাসন ও রক্ষীবাহিনীর নজিরবিহীন অত্যাচার দেখার ও ভালোভাবে বোঝার মতো বয়স আমার হয়েছিল এবং পিঠ বাঁচিয়ে তার সমালোচনাও করেছি, তবুও তার মৃত্যুতে উচ্ছ্বসিত না হয়ে আমি স্বভাবসুলভভাবে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ উচ্চারণ করেছি। 

১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় গিয়ে স্বয়ং শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে যেভাবে মহামানবে পরিণত শুরু করেছিলেন, তার ষোলকলা পূর্ণ হয় ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় গিয়ে টানা সাড়ে পনেরো বছর ক্ষমতায় থেকে তার পিতাকে পূর্ণ দেবতার রূপ দিতে। শেখ মুজিবকে তিনি দেশবাসীর সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে আরাধ্যের পাত্রে পরিণত করেন। মুহূর্তের জন্যও তিনি বিবেচনা করেননি যে, তার ফ্যাসিবাদী শাসনে জনগণকে অতিষ্ঠ করে তোলা ছাড়াও সব কাজে, সব কথায় কারণে-অকারণে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে তার মরহুম পিতাকে টেনে এনে অর্থহীনভাবে মৃত পিতাকে গ্লোরিফাই বা মহিমান্বিত করার চেষ্টা চালিয়ে তিনি নিজের ও কবরবাসী পিতার সর্বনাশ করেছেন। শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত দাবি করতেন যে, তিনি প্রতিদিন ফজরের নামাজ আদায়ের পর কোরআন তেলাওয়াত করতেন। কিন্তু দৃশ্যত নামাজ ও   তেলাওয়াত তাকে হেদায়েতের পথে আনতে পারেনি। হেদায়েত দান করা একান্ত আল্লাহর ইচ্ছা। কোরআনে বলা হয়েছে- ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন।’ (সুরা মুদ্দাসসির : ৩১)। আল্লাহ যেহেতু তাকে  হেদায়েতের পথে আনতে পারেননি, আল্লাহর ইচ্ছায় জনগণ তাকে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ ও ক্ষতিকর বিবেচনা করে নিজেদের মৃত্যু ও রক্তক্ষয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার মসনদ থেকে তাকে পলায়নে বাধ্য করে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তার পিতার মৃত্যু-পরবর্তী আনন্দ-উচ্ছ্বাসের চেয়ে বহুগুণ বেশি উচ্ছ্বাসে ৫ আগস্ট উদযাপন করেছে।

শেখ হাসিনার জন্য আমার দুঃখ হয়। তিনি যদি পঁচাত্তরের আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তি বিধান করার মধ্যেই তার প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করা সীমিত রাখতেন তাহলে তার ভাগ্যে এতটা দুর্দশা না-ও আসতে পারত। কিন্তু শাসক হিসেবে শেখ হাসিনা আগ্রাসি হয়ে উঠেছিলেন। তিনি তার পিতৃহত্যার দায় চাপিয়েছেন সমগ্র জাতির ওপর এবং পিতার ঘাতকদের মতো জাতিকেও দুর্ভোগের শিকারে পরিণত করেছেন। পুরো বাংলাদেশকে তিনি প্রাচীরবিহীন এক কারাগারে রূপান্তরিত করেছিলেন। নামাজ ও কোরআন তাকে কোনো শিক্ষা দিতে না পারলেও তার পিতার মৃত্যু নিয়ে বিদগ্ধজনেরা কী লিখেছেন, সেগুলো পাঠ করলেও তিনি উপলব্ধি করতে পারতেন যে তার করণীয় কী হওয়া উচিত ছিল। আমি তাদের লেখা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করতে চাই। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর খ্যাতিমান সাংবাদিক এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রী এনায়েতুল্লাহ খানের একটি দীর্ঘ নিবন্ধ সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল, যেটি পরে একাধিক গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। ‘শেখ মুজিব : পুতুলনাচের ইতিকথা’ শিরোমের নিবন্ধে তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তার অধিষ্ঠান এবং পরিশেষে ‘স্বর্গ হতে বিদায়’-এ অবশ্যম্ভাবিতারই বিয়োগান্ত আলেখ্য। শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড একদিকে নাটকীয়তায় চমকপ্রদ, অন্যদিকে দ্বৈততায় খণ্ডিত। অগণিত আত্মদান এবং এক ঝুড়ি রূপকথা মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল তার স্বর্গের সিঁড়ি। ব্যক্তিত্বের অপরিমিত শৌর্য ও অনুকূল ইতিহাসের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল তার রাজকাহিনি। তিনি ছিলেন রূপকের রাজা। সত্যিকারের মুকুটের ভার তাই তিনি বইতে পারেননি বরং মুকুটের ভারে তিনি ন্যুব্জ হয়েছেন। যারা প্রাণ দিল, অস্ত্র তুলে নিল, যারা দেশপ্রেমের সুমহান অঙ্গীকারের রক্ত দিয়ে মাতৃভূমির ঋণ শোধ করল, তাদেরই রক্ত-মাংস-হাড়ের বিনিময়ে তিনি গড়তে চেয়েছিলেন এক অলৌকিক ক্ষমতার দেউল। সেখানে দেবতা একক, কিন্তু পূজারি নেই। মানুষকে বাদ দিয়ে শুরু হলো বিগ্রহের রাজনীতির পুতুলের খেলা। পরদেশী পটুয়ার হাতে সৃষ্টি হলো পুতুলের রাজা শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ইতিহাস আরও বেশি নির্মম এবং তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ ১৫ আগস্ট। একঝাঁক আগ্নেয় সিসা লক্ষ কোটি মানুষের সীমাহীন রোষের আকস্মিক বিস্ফোরণের মতো নিপাত করল পুতুলের রাজত্ব।”

এনায়েতুল্লাহ খান আরও লিখেছেন : “ত্রিশ লক্ষ প্রাণ ও আকাক্সিক্ষত জাতীয় মুক্তির পরিবর্তে দেশবাসী পেল এক পুতুল সরকার এবং সংক্ষেপে এটাই হচ্ছে পুতুলনাচের ইতিকথা। শেখ মুজিবুর রহমান এই ইতিকথার নেপথ্য নায়ক।... তিনি ছিলেন দক্ষ নট। অভিনয়ের চাতুর্যে প্রতিটি নাটকীয় মুহূর্তে দর্শকবৃন্দের তুমুল করতালি কুড়িয়েছেন, বাগ্মিতার সম্মোহন ও বিভ্রমের মায়াজাল রচনা করেছেন। জাতীয় স্বাধীনতার মহানায়কের শিরোপা পরিধান করেছেন। কিন্তু বারবার মুক্তিকামী মানুষের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সেখানেই তার ট্র্যাজেডি। গণচেতনাকে পায়ে মাড়িয়ে, সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে শুরু হয়েছিল পরিকল্পনার দ্বিতীয় অধ্যায়। এরই ফলশ্রুতি একদল, একনেতা, একদেশ। শেখ মুজিবুর রহমান এ নাটকের নিরুপায় ক্রীড়নক। তিনি ছিলেন কিংবদন্তির নায়ক। তার রাজনীতির প্রক্রিয়া দ্বিচারণে অতুল্য। শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থান এবং পতন এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে নিহিত ছিল। শেখ মুজিবুর রহমান জুডাসের সিংহ নন অথবা দেব বংশোদ্ভব কূলনায়ক নন। তিনি বাংলাদেশের সমাজ বিন্যাস ও পরিমণ্ডলে লালিত একজন নশ্বর মানুষ। গণতন্ত্র হরণ, নির্মম নিপীড়ন, কণ্ঠরোধ এবং হত্যা এ প্রক্রিয়ারই অন্যতম পর্যায়। শেখ মুজিবুর রহমানের তিন বছরের দুঃশাসন সহস্র জননীর বুক ভেঙে দিয়েছে, শত শত বীর দেশপ্রেমিকের রক্ত রঞ্জিত হয়েছে। দেশকে ভালোবাসতে গিয়েও তিনি দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। জীবন দিয়ে তাকে সেই মূল্য শোধ করতে হয়েছে।” (তথ্যসূত্র : ফ্যাক্টস অ্যান্ড ডকুমেন্টস : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড/অধ্যাপক আবু সাইয়িদ,  চারুলিপি-জুলাই, ২০১০)।

শেখ মুজিবকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী নেতৃত্ব মহিমান্বিত করতে শতচেষ্টা করলে ইতিহাস তার প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। স্বয়ং তিনিও যে লুণ্ঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সে সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়, প্রথমা প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন’ বইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মঈদুল হাসানের স্মৃতিচারণমূলক অংশে। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের দায়িত্ব থেকে ডি পি ধরকে ফেব্রুয়ারি (১৯৭২) মাসের প্রথম দিকেই শেখ মুজিবুর রহমানের জোরালো দাবির কারণে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী (স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন পি এন হাকসারকে)। পি এন হাকসার ভেবেছিলেন নিশ্চয়ই ডি পি ধর এমন কিছু ভুল করেছেন, যার জন্য তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। তারপর ঢাকায় আসেন পি এন হাকসার। ঢাকায় এসে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে অনেক বিষয়ে আলোচনার পর হাকসার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বেশ কয়েক কোটি টাকা- যতদূর মনে পড়ে ১৭ কোটি টাকা রয়েছে ভারতে। যে টাকাটা পূর্ব পাকিস্তান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই টাকা বদলানো হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায়। সেই টাকা প্রবাসী সরকার কিছু খরচ করেছে, অবশিষ্ট টাকা রয়েছে ভারতীয় ব্যাংকে। তিনি তাকে বলেন, ‘ভারত সরকার এ টাকাটা ফেরত দিতে চায়। কিন্তু কীভাবে আমরা ফেরত পাঠাব। ব্যাংক ড্রাফট করে পাঠাব নাকি তোমরা জিনিসপত্র কিনবে- জিনিসপত্র কিনলে তার বিপরীতে আমরা ব্লক হিসেবে সেই টাকা দেব। তবে আমরা বৈদেশিক মুদ্রায় দিতে পারব না, ভারতীয় মুদ্রায় দেব।’

“তখন শেখ মুজিব বললেন, টাকাগুলো ট্রাকে করে পাঠিয়ে দিতে। বিস্মিত পি এন হাকসার শেখ মুজিবকে বললেন, ‘ট্রাকে করে টাকা কীভাবে দেব? আমাদের তো সরকারি হিসাব-পদ্ধতি আছে, ব্যাংকিং পদ্ধতি আছে।’ তারপর নাকি শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘সামনে আমার নির্বাচন, এই টাকা সেজন্য আমার দরকার হবে।’ পি এন হাকসার অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক, ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের ওই কথায় তিনি খুবই আহত হয়েছিলেন। পরে হাকসার ভারতে ফিরে গিয়ে মিসেস গান্ধী ও তাঁর সহকর্মীদের এ কথা বলেন। ডি পি ধর, যিনি তখন  ভারতের পরিকল্পনামন্ত্রী- আমাকে ১৯৭২ সালের জুন মাসে এ খবরটা দেন। ১৯৮১ সালে  হাকসার নিজেও আমার কাছে এই ঘটনাটা নিশ্চিত করেন।”

আলোচিত বুদ্ধিজীবী ও লেখক আহমদ ছফা তার ‘শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য প্রবন্ধ’ গ্রন্থের এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, “কী ছিলেন শেখ মুজিব- বীর? প্রতারক? অনমনীয় একগুঁয়ে, উচ্চাকাক্সক্ষী, চরম ক্ষমতালোভী একজন একনায়ক? নাকি শেখ মুজিব ইতিহাসের সেসব ঘৃণিত ভিলেনের একজন, যারা জনগণকে মুক্তি এবং স্বাধীনতার নামে জাগায় বটে, কিন্তু সামনে যাওয়ার নাম করে পেছন দিকে চালনা করে। একটা সময় পর্যন্ত জনগণ ভিলেনদের কথা শোনে, তাদের নির্দেশ শিরোধার্য করে মেনে নেয়।

কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারে শয়তানের প্রলোভনে মুগ্ধ হয়ে ফুল-ফসলেঘেরা সবুজ উপকূলের আশায় পা বাড়িয়ে ভ্রান্ত স্বপ্নের ছলনায় ভ্রান্ত গন্তব্যে এসে উপনীত হয়েছে; তাদের আশা করার, বাসা করার, ভরসা করার কিছুই নেই; আছে শুধু পথচলার ক্লান্তি, অনিশ্চয়তার হতাশা এবং প্রখর মরুভূমিতে মরীচিকার নিত্যনতুন ছলনা, তখন তারা তাদের ভাগ্যকে ধিক্কার দেয়, অভিসম্পাতের বাণী উচ্চারণ করে সেই বহুরূপী সঙ-নেতার নামে, যার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চাকাক্সক্ষার পতাকাকে নিরীহ, শান্তিপ্রিয়, খেটে-খাওয়া জনগণ তাদের মুক্তিসনদ বলে ভুল করেছিল। শেখ মুজিবও কি একজন তেমন মানুষ? ১৫ আগস্ট পার হয়ে গেল। গত বছরের মতো এবারও মুজিবভক্তরা দিনটিকে তাদের প্রচলিত ধারায় ‘শোক দিবস’ হিসেবে পালন করতে পারেননি। তবে স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্রে দেখেছি এখানে-সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হওয়া শোকার্তদের। আশুরা উপলক্ষে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর স্মরণে শিয়া সম্প্রদায়ভুক্তরা যেমন কালো বস্ত্র ধারণ করে, শেখ মুজিবের স্মরণে তারাও কালো জামা পরেছে। টুঙ্গিপাড়ায় তার মাজার ও ৩২ নম্বরের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর কর্মসূচি গতবারের মতো এবারও ছিল না। ইতিহাসে ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তা দেওয়ার’ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরিবর্তে ঘৃণা পুষে রাখার কারণ তৈরি করে গেছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। মহিমান্বিত করার বাড়াবাড়ি করে তিনি তার পিতাকে ঘৃণার সমুদ্রে ডুবিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে খ্যাতিমান কবি ও প্রাবন্ধিক কাজী জহিরুল ইসলাম তার “কেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যাবে না!” শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন- “তিনি অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় দীর্ঘদিন থেকেছেন বঙ্গবন্ধুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। তার অবৈধ ক্ষমতার দেহে আঘাত করার জন্য দেশের ছাত্র-জনতা সেই ঢাল ভেঙে দিয়েছে। এটা ছাড়া তো গণমানুষের সামনে অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। যখন নির্বাচনের পথ বন্ধ, আলোচনার পথ বন্ধ, আঘাতই একমাত্র সমাধান। আর সেই আঘাত ঠেকানোর ঢাল যদি হয় বঙ্গবন্ধু সবার আগে তো সেই ঢালই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে।”

তিনি আরও বলেছেন, “এ দেশে বঙ্গবন্ধুর কি কোনো অবদান নেই? এই প্রশ্ন অনেকেই করেন। হ্যাঁ, অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর অবদান আছে। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে, যখন বঙ্গবন্ধুই হয়ে উঠেছেন ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রধান প্রতীক, তখন তার প্রতি ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা প্রদর্শন দেশ গড়ার জটিল যাত্রাপথে এক বিরাট প্রতিবন্ধকতা হয়ে দেখা দেবে। এ মুহূর্তে তার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রদর্শন করার অর্থ হলো হাসিনার খুন, গুম, অবৈধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে পবিত্র বিপ্লব তাকে অসম্মান করা এবং ফ্যাসিবাদের প্রতি নমনীয় হওয়া। যারা আবেগের জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা দেখাতে চান তাদের মনে রাখতে হবে- দেশের চেয়ে বঙ্গবন্ধু বড় নয়। ইতিহাস কাউকে মুছে দেয় না। এক দিন সময় আসবে যখন এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকার করবে, তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেবে। কিন্তু এ মুহূর্তে তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন জাতির জন্য বিপজ্জনক। এখন তিনি যে ফ্যাসিবাদের সিম্বল হয়ে উঠেছেন, তা মাড়িয়েই এ জাতি বিনির্মাণ করছে নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।”

লেখক : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
নড়বড়ে রেলপথ
নড়বড়ে রেলপথ
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি
মানসম্মত শিক্ষার জন্য জাতীয়করণ চাই
মানসম্মত শিক্ষার জন্য জাতীয়করণ চাই
হালাল উপার্জন ইবাদত কবুলের শর্ত
হালাল উপার্জন ইবাদত কবুলের শর্ত
মাছ চাষে চাই আধুনিক প্রযুক্তি
মাছ চাষে চাই আধুনিক প্রযুক্তি
সব প্রশ্নের একমাত্র সমাধান নির্বাচন
সব প্রশ্নের একমাত্র সমাধান নির্বাচন
লাল-সবুজের জয়
লাল-সবুজের জয়
মানবতার বহরে হামলা
মানবতার বহরে হামলা
শান্তির জন্য যুদ্ধ!
শান্তির জন্য যুদ্ধ!
শান্তি মানবতা মধ্যপন্থার ধর্ম ইসলাম
শান্তি মানবতা মধ্যপন্থার ধর্ম ইসলাম
জাতীয় উদ্যানেও প্রাণীদের অপমৃত্যু
জাতীয় উদ্যানেও প্রাণীদের অপমৃত্যু
দেশের অবস্থা কোন দিকে
দেশের অবস্থা কোন দিকে
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্রকে আরব সাগরে বন্দর নির্মাণের প্রস্তাব পাকিস্তানের
যুক্তরাষ্ট্রকে আরব সাগরে বন্দর নির্মাণের প্রস্তাব পাকিস্তানের

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেনেটে অচলাবস্থা, মার্কিন শাটডাউন গড়াল দ্বিতীয় সপ্তাহে
সেনেটে অচলাবস্থা, মার্কিন শাটডাউন গড়াল দ্বিতীয় সপ্তাহে

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে আজ মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান
বিশ্বকাপে আজ মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে লিগের শীর্ষে আর্সেনাল
ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে লিগের শীর্ষে আর্সেনাল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় কোরআনের অনুবাদ
ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় কোরআনের অনুবাদ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ইসলামী ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র মরক্কোর ফেজ শহর
ইসলামী ঐতিহ্যের প্রাণকেন্দ্র মরক্কোর ফেজ শহর

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

চলে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী সন্ধ্যা
চলে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী সন্ধ্যা

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে ফের শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ
ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে ফের শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়াবহ হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল: হামাস
গাজায় ভয়াবহ হামলা ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল: হামাস

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক
শিক্ষক: দারিদ্র্যের নয়, মর্যাদার প্রতীক

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়েছে ইসরায়েল : দাবি ট্রাম্পের
গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে সম্মতি দিয়েছে ইসরায়েল : দাবি ট্রাম্পের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যবসায়ীদের টুঁটি চেপে ধরার নিষ্ঠুরতা আর কত
ব্যবসায়ীদের টুঁটি চেপে ধরার নিষ্ঠুরতা আর কত

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ৯৩টি হামলা, নিহত অন্তত ৭০
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ৯৩টি হামলা, নিহত অন্তত ৭০

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ মুহূর্তের গোলে লিভারপুলকে হারাল চেলসি
শেষ মুহূর্তের গোলে লিভারপুলকে হারাল চেলসি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সব প্রশ্নের একমাত্র সমাধান নির্বাচন
সব প্রশ্নের একমাত্র সমাধান নির্বাচন

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সংকট কাটছে না এনসিপিতে
সংকট কাটছে না এনসিপিতে

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুবিনকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে: দাবি গ্রেপ্তার হওয়া সহশিল্পীর
জুবিনকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে: দাবি গ্রেপ্তার হওয়া সহশিল্পীর

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চলতি সপ্তাহেই প্রশাসক পেতে যাচ্ছে পাঁচ ব্যাংক
চলতি সপ্তাহেই প্রশাসক পেতে যাচ্ছে পাঁচ ব্যাংক

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সান্ডারল্যান্ডকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো ম্যানইউ
সান্ডারল্যান্ডকে হারিয়ে জয়ে ফিরলো ম্যানইউ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩৫ লিটারের বদলে ৬২১ লিটারের ভুয়া বিল পেলেন ফারহান
৩৫ লিটারের বদলে ৬২১ লিটারের ভুয়া বিল পেলেন ফারহান

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রেমাদাসায় ভারতের অনুশীলনের সময় মাঠে সাপ
প্রেমাদাসায় ভারতের অনুশীলনের সময় মাঠে সাপ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নোয়াখালীর হাতিয়ায় নৌবাহিনীর অভিযান: কয়লাসহ ০৩ ট্রলার আটক
নোয়াখালীর হাতিয়ায় নৌবাহিনীর অভিযান: কয়লাসহ ০৩ ট্রলার আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আয়ারল্যান্ড সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বিসিবি
আয়ারল্যান্ড সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বিসিবি

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডির চরম সংকট : গভর্নর
ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডির চরম সংকট : গভর্নর

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইসরায়েলের বর্বরতা প্রকাশ করলেন ফ্লোটিলা থেকে আটক থাকা সাংবাদিক
ইসরায়েলের বর্বরতা প্রকাশ করলেন ফ্লোটিলা থেকে আটক থাকা সাংবাদিক

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ভারতীয় শিক্ষার্থী নিহত
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ভারতীয় শিক্ষার্থী নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খাগড়াছড়ি-গুইমারায় জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার
খাগড়াছড়ি-গুইমারায় জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫
গাজীপুরে অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশ সদস্যকে মারধর-চাঁদা দাবি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশ সদস্যকে মারধর-চাঁদা দাবি, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কোটি ডলারের স্টেডিয়াম নয়, হাসপাতাল দরকার: দাবি মরক্কোর জেন-জিদের
কোটি ডলারের স্টেডিয়াম নয়, হাসপাতাল দরকার: দাবি মরক্কোর জেন-জিদের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতে ইসলামীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান হেফাজত আমিরের
জামায়াতে ইসলামীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান হেফাজত আমিরের

২০ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হামাস প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প
হামাস প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় ইসরায়েলকে গাজায় হামলা থামাতে বললেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইস্টার্ন ন্যাটোতে’ রূপ নিতে পারে পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি: ইসহাক দার
‘ইস্টার্ন ন্যাটোতে’ রূপ নিতে পারে পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি: ইসহাক দার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওমরাহ নিয়মে কড়াকড়ি, মানতে হবে যে ১০ নির্দেশনা
ওমরাহ নিয়মে কড়াকড়ি, মানতে হবে যে ১০ নির্দেশনা

১৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল ‘শক্তি’, ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিল ‘শক্তি’, ভারতে রেড অ্যালার্ট জারি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবুধাবিতে ৬৬ কোটি টাকার লটারি জিতলেন বাংলাদেশি ট্যাক্সি ড্রাইভার
আবুধাবিতে ৬৬ কোটি টাকার লটারি জিতলেন বাংলাদেশি ট্যাক্সি ড্রাইভার

২০ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ট্রাম্পের নির্দেশ উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৭
ট্রাম্পের নির্দেশ উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৭

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্লোটিলার দুটি নৌযানে ড্রোন হামলার নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু, দাবি রিপোর্টে
ফ্লোটিলার দুটি নৌযানে ড্রোন হামলার নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু, দাবি রিপোর্টে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হালট্রিপ কেলেঙ্কারির হোতা তাজবীর আটক, ফেসবুকে যা লিখলেন জুলকার
হালট্রিপ কেলেঙ্কারির হোতা তাজবীর আটক, ফেসবুকে যা লিখলেন জুলকার

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ধারণ ক্ষমতার চেয়েও বেশি মরদেহ পড়ে আছে ঢামেকের মর্গের হিমঘরে, আদালতের দ্বারস্থ পুলিশ
ধারণ ক্ষমতার চেয়েও বেশি মরদেহ পড়ে আছে ঢামেকের মর্গের হিমঘরে, আদালতের দ্বারস্থ পুলিশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোটি ডলারের স্টেডিয়াম নয়, হাসপাতাল দরকার: দাবি মরক্কোর জেন-জিদের
কোটি ডলারের স্টেডিয়াম নয়, হাসপাতাল দরকার: দাবি মরক্কোর জেন-জিদের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি সানা জাবেদের সঙ্গে সংসার ভাঙছে শোয়েব মালিকের
সত্যিই কি সানা জাবেদের সঙ্গে সংসার ভাঙছে শোয়েব মালিকের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড়, বন্যার আভাস
অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড়, বন্যার আভাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে ফিরছেন রোহিত-কোহলি
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে ফিরছেন রোহিত-কোহলি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় সেনাদের অভিযান সীমিত করার নির্দেশ ইসরায়েলের
গাজায় সেনাদের অভিযান সীমিত করার নির্দেশ ইসরায়েলের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে কী ছিল? কিসে কিসে রাজি হামাস
ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবে কী ছিল? কিসে কিসে রাজি হামাস

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহানকে প্রশংসায় ভাসালেন জাকের আলী
সোহানকে প্রশংসায় ভাসালেন জাকের আলী

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার অক্ষয়কন্যা
অনলাইনে গেম খেলতে গিয়ে হেনস্তার শিকার অক্ষয়কন্যা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ফিলিস্তিনি সম্মেলন আয়োজন করবে মিশর : হামাস
গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ফিলিস্তিনি সম্মেলন আয়োজন করবে মিশর : হামাস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় অতিরিক্ত এসপি’র ওপর হামলা
সড়কে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় অতিরিক্ত এসপি’র ওপর হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দল অনুগত প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না : রিজভী
দল অনুগত প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না : রিজভী

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ব্যারিস্টার আহসান হাবিব গ্রেফতার
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ব্যারিস্টার আহসান হাবিব গ্রেফতার

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না : চরমোনাই পীর
কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না : চরমোনাই পীর

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আলহামদুলিল্লাহ সফল হতে পেরেছি: শরিফুল
আলহামদুলিল্লাহ সফল হতে পেরেছি: শরিফুল

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে আবারও শীর্ষে কলকাতা
ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে আবারও শীর্ষে কলকাতা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি, বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি, বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ শিক্ষককে গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে আমিরাত
২০০ শিক্ষককে গোল্ডেন ভিসা দিচ্ছে আমিরাত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংকট কাটছে না এনসিপিতে
সংকট কাটছে না এনসিপিতে

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৪ অক্টোবর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন কারা
বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন কারা

প্রথম পৃষ্ঠা

আগস্টে ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী টাকার মান
আগস্টে ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী টাকার মান

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান পাঁচ নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান পাঁচ নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

আরেকটি হোয়াইটওয়াশের সুযোগ
আরেকটি হোয়াইটওয়াশের সুযোগ

মাঠে ময়দানে

নারী বাউলশিল্পীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক
নারী বাউলশিল্পীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেগমপাড়া যেভাবে লুটেরাদের ঠিকানা
বেগমপাড়া যেভাবে লুটেরাদের ঠিকানা

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট কাটছে না এনসিপিতে
সংকট কাটছে না এনসিপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইপিও খরায় শেয়ারবাজার
আইপিও খরায় শেয়ারবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

মাঠ চষছেন বিএনপির অর্ধ ডজন মনোনয়নপ্রত্যাশী
মাঠ চষছেন বিএনপির অর্ধ ডজন মনোনয়নপ্রত্যাশী

নগর জীবন

চলতি সপ্তাহেই প্রশাসক পেতে যাচ্ছে পাঁচ ব্যাংক
চলতি সপ্তাহেই প্রশাসক পেতে যাচ্ছে পাঁচ ব্যাংক

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রাম্পের কথা রাখলেন না নেতানিয়াহু
ট্রাম্পের কথা রাখলেন না নেতানিয়াহু

প্রথম পৃষ্ঠা

অতিরিক্ত এসপির ওপর হামলা
অতিরিক্ত এসপির ওপর হামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

উত্তরায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি আটক ৩
উত্তরায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি আটক ৩

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন
জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর মানে স্থায়ী অস্থিরতা
পিআর মানে স্থায়ী অস্থিরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রী-শাশুড়ি মিলে যুবককে হত্যাচেষ্টা
স্ত্রী-শাশুড়ি মিলে যুবককে হত্যাচেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

অবরোধ প্রত্যাহার জনজীবন স্বাভাবিক খাগড়াছড়িতে
অবরোধ প্রত্যাহার জনজীবন স্বাভাবিক খাগড়াছড়িতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা ভূমিকা রাখতে পারে
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের শিক্ষা ভূমিকা রাখতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

মহাসড়কে প্রাইভেট কার থামিয়ে ডাকাতি
মহাসড়কে প্রাইভেট কার থামিয়ে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্যের শেষ চেষ্টা কমিশনের
ঐক্যের শেষ চেষ্টা কমিশনের

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে আজ থেকে নিষিদ্ধ ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিক
সচিবালয়ে আজ থেকে নিষিদ্ধ ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিক

পেছনের পৃষ্ঠা

মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে হত্যা
মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

নারায়ণগঞ্জ রুটে নারী ট্রেনচালকের ওপর হামলা
নারায়ণগঞ্জ রুটে নারী ট্রেনচালকের ওপর হামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের নিরাপদ শহরের তালিকায় শীর্ষে কলকাতা
ভারতের নিরাপদ শহরের তালিকায় শীর্ষে কলকাতা

পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্রে নিখোঁজ পাঁচ জেলে
সমুদ্রে নিখোঁজ পাঁচ জেলে

দেশগ্রাম

ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন নয়
ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বাহন এখন বিষফোড়া
স্বস্তির বাহন এখন বিষফোড়া

নগর জীবন

৮০ পয়সার ভ্যাকসিন ২০ টাকা
৮০ পয়সার ভ্যাকসিন ২০ টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে জাপান
ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে জাপান

প্রথম পৃষ্ঠা