যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে হামাস। ওই উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বনেতারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, জিম্মি মুক্তির ইঙ্গিত একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ভারত একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত শান্তির লক্ষ্যে সকল প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যাবে।
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মেৎস বর্তমান পরিস্থিতিকে শান্তির জন্য সবচেয়ে ভালো সুযোগ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে জার্মানি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, অগ্রগতির জন্য দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন। আরও বলেন, জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
এগুলো অতি দ্রুত করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে গাজা শান্তি পরিকল্পনায় সমর্থন দেওয়ায় মুসলিম ও আরবদেশগুলোকে কৃতিত্ব দিলেন ট্রাম্প। হামাসের বিবৃতির জবাবে একটি বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জিম্মিরা বাড়ি ফিরে যাবেন এজন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
হামাসের প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে মিসর। একে সংঘাতের অবসানের দিকে একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। শনিবার এক বিবৃতিতে মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের প্রস্তাবে হামাসের সমর্থনের বিষয়টির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, হামাসের প্রতিক্রিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের রক্তপাত, নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও এই অঞ্চলের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটানোর আন্তরিক আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্র বলেছেন, গাজায় জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি এখন নাগালের মধ্যে। এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেছেন, আর বিলম্ব না করে অবশ্যই হামাসের প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করতে হবে।
এছাড়া তিনি এই মুহূর্তকে শান্তির দিকে সিদ্ধান্তমূলকভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ বলেও অভিহিত করেছেন। আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও অন্য অংশীদারদের পাশাপাশি জাতিসংঘে তাদের পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ফ্রান্স। এসময় তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ট্রাম্প ও তার দলগুলোকে ধন্যবাদ জানান। গাজা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, ফিলিস্তিনি জনগণের উপর এই গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা এখন যুদ্ধবিরতির আরও কাছাকাছি। পাকিস্তান সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সবসময় থাকবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা, সেইসাথে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, জর্ডান, মিসর এবং ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্বের প্রতিও কৃতজ্ঞতা, যারা #UNGA80-এর ফাঁকে ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে দেখা করেছিলেন।
হামাসের জারি করা বিবৃতি যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি পথ তৈরি করেছে, এই সুযোগ বিফলে যেতে দেওয়া উচিত হবে না।
ইনশাআল্লাহ, ফিলিস্তিনে স্থায়ী শান্তির জন্য পাকিস্তান তার সমস্ত অংশীদার এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর সাথে কাজ চালিয়ে যাবে। সূত্র: জিও নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ