দেশে সংঘটিত ভূমিকম্পে নিহত ও আহত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে এবং অব্যাহত আছে।
শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জরুরি সাড়াদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বর ০২৫৮৮১১৬৫১। কেন্দ্র থেকে সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও মাগুরা জেলা থেকে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ঢাকা জেলায় বিশেষ করে রাজাধানীতে চারজন নিহত ও ৫৯ জন আহত, নারায়ণঞ্জে ১ জন নিহত ও ১৮ জন আহত, নরসিংদীতে ৫ জন নিহত ও ১১০ জন আহত, গাজীপুরে ২৫২ জন আহত এবং মাগুরাতে ২২ জন আহত হয়। সব মিলিয়ে ১০ জন নিহত ও ৪৬১ জন আহতের তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে আবারও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ভূমিকম্পের মাত্রা ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল নরসিংদী থেকে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
তবে, ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৭। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি।
এর আগে শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে নরসিংদীর পলাশে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩.৩।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে সই করেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও শুক্রবার (২১ নভেম্বর) একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। এতে সারা দেশে অন্তত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৭। উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত