কুমিল্লার দেবিদ্বারে পুলিশ সদস্যকে আটক করে মারধর ও দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লু। তিনি দেবিদ্বার পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বাড়ি পৌর এলাকার আলমপুরে, পিতা ইসমাইল হোসেন। দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ শনিবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন দেবিদ্বার উপজেলার সুবীল ইউনিয়নের বুড়িরপাড় গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে তাসলিমা আক্তার এবং হেলাল খান। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন বুড়িরপাড়ের ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম, গুনাইঘর দৌলতখানের ছেলে হেলাল খান ও কামাল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বিল্লু এবং চাপানগরের আবু তাহেরের ছেলে কানা জালাল।
ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য আবু কাউছারের স্ত্রী ও মামলার বাদী ইশরাত জাহান জানান, তাঁর স্বামী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানায় কর্মরত আছেন। গত ১ অক্টোবর তাঁর স্বামীর চাচি আমেনা বেগম জমি দেখানোর কথা বলে তাঁকে সংবাদ দেন। ছোট আলমপুর এলাকায় গেলে তাঁকে একটি জমি দেখান তিনি। জমি পছন্দ হলে মাদ্রাসা ভবনের পঞ্চম তলায় নিয়ে কথাবার্তা চূড়ান্ত করার কথা বলে একটি রুমে আটক করা হয়। সেখানে তাসলিমা আক্তার, আমেনা বেগম, হেলাল খান, কামাল, বিল্লু ও জালাল তাঁর স্বামীর ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, তাঁর স্বামীর কাছে থাকা নগদ ১৩ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তাঁরা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের মাধ্যমে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা আদায় করে তাঁরা। তিন ঘণ্টা আটক রেখে নির্যাতনের পর ছেড়ে দেন।
ইশরাত জাহান আরও অভিযোগ করেন, বিবাদীরা সবাই তাঁর স্বামীকে তাঁর প্রথম স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে ২০ লাখ টাকা কাবিনে পুনরায় বিবাহ করতে বলেছিলেন। তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নির্যাতন চালান।
অভিযোগের বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বিল্লাল হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্য আবু কাউছারকে তাঁর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দেখার পর এলাকার কয়েকজন ছেলে আটক করে। পরে আমি গিয়ে জানতে পারি তিনি পুলিশ সদস্য, তখন আমি সেখান থেকে চলে আসি। দেবিদ্বার থানার ওসি আমার নাম শুনে আমাকে মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, পুলিশ সদস্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে তাঁর স্ত্রীর করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল