যদি আরও দেশ যোগ দেয় তাহলে সৌদি আরবের ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি ভবিষ্যতে ইস্টার্ন ন্যাটো বা পূর্বাঞ্চলীয় ন্যাটো জোটে রূপ নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
শুক্রবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দার বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষা চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন আরও কয়েকটি দেশ আমাদের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদ ও রিয়াদ একটি স্ট্র্যাটেজিক মিউচুয়াল ডিফেন্স এগ্রিমেন্ট সই করে, যেখানে বলা হয়েছে— কোনও এক দেশের ওপর আক্রমণ হলে সেটি উভয় দেশের ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য হবে।
দার জানান, কয়েকটি আরব ও মুসলিম দেশও এ ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে যোগ দিতে চায়।
তিনি বলেন, এই চুক্তি ভবিষ্যতে আরও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে এবং তা একসময় নতুন এক ন্যাটো—অর্থাৎ ‘ইস্টার্ন ন্যাটো’-তে পরিণত হতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, আল্লাহর ইচ্ছায় পাকিস্তান ৫৭টি ইসলামী দেশের নেতৃত্ব দেবে।
ভারতের আগ্রাসনের প্রসঙ্গ টেনে দার বলেন, যদি মে মাসে ভারতের হামলার সময় এই প্রতিরক্ষা চুক্তি কার্যকর থাকতো, তবে সেটি সৌদি আরবের ওপরও হামলা হিসেবে বিবেচিত হতো।
একই সঙ্গে গাজা ইস্যুতেও তিনি মত দেন। দার জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা মুসলিম দেশগুলোর প্রস্তাবিত খসড়া থেকে ভিন্ন।
তিনি বলেন, ট্রাম্পের প্রকাশিত ২০ দফা পরিকল্পনা আমাদের নয়, এতে আমাদের খসড়ায় থাকা বেশ কিছু বিষয় পরিবর্তন করা হয়েছে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।
তবে পাকিস্তান স্পষ্ট করেছে যে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব তাদের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার সঙ্গে মেলে না, এবং এতে পাকিস্তানের দেওয়া সব সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সূত্র: জিও নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ