গাইবান্ধা জেলায় এখন পর্যন্ত ১৭২ জন ফিস্টুলা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব ও ইউএনএফপিএ (UNFPA)। উদ্যোগে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
এ উপলক্ষে রবিবার (২৩ নভেম্বর) গাইবান্ধার একটি রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি সভার আয়োজন করে ল্যাম্ব ও ইউএনএফপিএ। সভায় ফিস্টুলা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. তাহেরা আকতার মনি।
তিনি বলেন, ‘ফিস্টুলা হলো মাসিকের রাস্তার সাথে মূত্রথলী বা মলাশয়ের অস্বাভাবিক ছিদ্র তৈরি হয়ে সংযুক্ত হওয়া, যার ফলে মাসিকের রাস্তা দিয়ে সবসময় প্রস্রাব বা পায়খানা—উভয়ই বের হতে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত প্রসব, বাল্যবিবাহ, অল্প বয়সে সন্তান জন্মদান, জরুরি প্রসূতি সেবার অভাব, তলপেট বা জরায়ুর অপারেশন, অদক্ষ ধাত্রী বা আত্মীয়দের মাধ্যমে ডেলিভারি এবং সচেতনতার অভাব—এসবই ফিস্টুলার প্রধান কারণ। তবে এ রোগ সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য। এজন্য দ্রুত ফিস্টুলা আক্রান্ত নারীকে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে সেবা দেওয়া জরুরি।’
অ্যাডভোকেসি সভা উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন। বক্তব্য দেন ল্যাম্বের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা প্রমুখ।
সভায় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল