জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে টাকা আত্মসাৎ করতে হত্যা করে লাশ গুম করার ফন্দি আঁটছিলেন স্ত্রী লাবণী আক্তার। ঘরের বারান্দায় খোঁড়া হয়েছিল কবরও। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ফরহাদ হোসেন ঠান্ডু বেপারী নামের ওই ব্যক্তি। ঘটনার পর থেকে ঠান্ডুর স্ত্রীকে আটক করা গেলেও শাশুড়ি, দাদিশাশুড়ি পলাতক। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়নের মুন্সী গ্রামে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদরপুর উপজেলার বেপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা ঠান্ডু বেপারীর (৩৫) সঙ্গে ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সীডাঙ্গী গ্রামের লাবণী আক্তারের বিয়ে হয় প্রায় ১৫ বছর আগে। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ঠান্ডু বেপারীর ঢাকায় দোকান রয়েছে। তিন দিন আগে তিনি শ্বশুরবাড়িতে আসেন। শুক্রবার রাতে ঠান্ডু বেপারীকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিলে তিনি অচেতন হয়ে যান।
এ অবস্থায় শাশুড়ি শাহিদা বেগম, দাদিশাশুড়ি জনকি বেগম ও স্ত্রী লাবণী আক্তার ধারালো কাঁচি দিয়ে ঠান্ডু বেপারীকে গলা কাটার চেষ্টা চালান। এ সময় ঠান্ডু বেপারীর চেতনা ফিরে এলে তিনি গোঙাতে থাকেন। পাশের ঘর থেকে ঠান্ডুর দাদাশ্বশুর ঘরের কাছে এসে তার নাম ধরে ডাকলেও তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে গোঙাতে থাকেন। এরপর দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকে তিনি দেখতে পান ঠান্ডুর হাত, পা বাঁধা ও মুখে কাপড় গোঁজা এবং তিনজন মিলে গলা কাটার চেষ্টা করছেন। তাকে দেখে তিনজন দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে যান। আহতাবস্থায় ঠান্ডুকে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এদিকে ঠান্ডু বেপারীকে হত্যার পর লাশ গুম করে রাখার জন্য ঘরের বারান্দায় একটি কবরও খোঁড়া হয়েছিল। সেখানে আগে থেকে খোয়া ও সিমেন্টের বস্তা রাখা ছিল।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় জানান, ঠান্ডু বেপারীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পাওনা টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।