বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলার মানুষ ইসলামী দলকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। জীবন ও রক্ত দিয়ে গণঅভ্যুত্থান অর্জিত হয়েছে শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য নয়। জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে ফ্যাসিস্টদের আক্রমণে শহীদদের কোনো সম্মাননা প্রদান করা হয়নি বলে আমরা নিন্দা জানাই। বীর শহীদদের সাথে বর্তমান সরকার বেইমানী করেছে।
শনিবার (১৬ আগষ্ট) বিকালে বাঞ্ছারামপুর বড় বাজার (সরকারি কলেজ সংলগ্ন) মাঠে খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পশ্চিম কর্তৃক আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের পূর্বে সংস্কার ফ্যাসিবাদদের বিচার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। শাপলা চত্বর, জুলাই-আগষ্টে নিহত শহীদদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে। দেশ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদরা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাদের দোসররা এখনও বিভিন্ন ক্ষমতায় বসে আছে।
বিএনপি, জামায়েত এবং এনসিপিসহ সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আহ্বান রেখে বলেন, আমাদের মাঝে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও জাতীয় পার্টিসহ সকল ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।
বাঞ্ছারামপুর খেলাফত মজলিস সভাপতি মুফতি আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হা. মাও. আব্দুল আজিজ খন্দকার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার, নরসিংদী জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আব্দুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ বাঞ্ছারামপুর জামায়েত মনোনিত প্রার্থী প্রফেসর দেওয়ান মো. নকিবুল হুদা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সারোয়ার হাসান আলমগীর প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল