ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন চারজন। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম উল হাসান অপু এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী বুয়েটের সাবেক ভিপি ও লন্ডন পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ব্যারিস্টার তারিক বিন আজিজ। শোনা যাচ্ছে, নির্বাচন সামনে রেখে ২ আগস্ট ব্যারিস্টার তারিক কুষ্টিয়ায় এসেছেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা আমির হামজা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি আবদুল লতিফ খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলী খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির অধ্যাপক সিরাজুল হক এবং গণঅধিকার পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেকের নাম শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখন পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে দেখা গেছে- ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত কুষ্টিয়ার চারটি আসনই ছিল বিএনপির দখলে। জামায়াতে ইসলামী একক প্রার্থী ঘোষণা করে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। বিএনপির চার মনোনয়নপ্রত্যাশী এবং অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ, মতবিনিময়, মোটর শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে কুষ্টিয়া জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন বেশি সংগঠিত ও শক্তিশালী। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তাকেই বিপুল ভোটে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাব।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, ১৫-১৬ বছর দলটির নেতা-কর্মীরা ভোটাধিকার তো দূরের কথা, রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারেননি। দীর্ঘ সময় পর ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ায় নেতা-কর্মীরা দারুণ উজ্জীবিত। শুধু কুষ্টিয়া জেলার চারটি আসনেই নয়, সারা দেশের ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছেন।