জেলার সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত লালমনিরহাট-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু অনেকটা শক্ত অবস্থানে রয়েছে। থেমে নেই অন্যরাও। তারা আত্মবিশ্বাসী। এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী প্রভাষক হারুন অর রশীদ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জেলা শাখার সেক্রেটারি আলহাজ মোকছেদুল ইসলামও বসে নেই। তবে এনসিপির কাউকে এই গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যায়নি। বিএনপির অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু ২০০১ সালে প্রথমে যোগাযোগ উপমন্ত্রী এবং পরে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বেগম খালেদা জিয়ার ডাল-ভাত কর্মসূচিকে উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা দূরীকরণে সহায়ক হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন। এ আসনে তার রয়েছে শক্ত অবস্থান। এদিকে, নির্বাচন সামনে রেখে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব তাকে জনগণের মনের মণিকোঠায় স্থান করে দেয়। তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে অতীতের রেখে যাওয়া কাজগুলো শেষ করার পাশাপাশি আমার প্রথম কাজ হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে নজর রাখা। সেই সঙ্গে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার কথা ও বলেন বিএনপির এই নেতা।’
আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তা ছাড়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাসের পর মাস আয়না ঘরে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী প্রভাষক হারুন অর রশীদ নির্বাচন সামনে রেখে গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিশ্রুতি রাষ্ট্রের টাকা আত্মসাৎ বন্ধ করা, বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তিস্তাপারের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, দেশের গর্বিত নাগরিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাইবোনসহ, সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের মানবিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা। সন্ত্রাসবাদ ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে, বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ এলাকা গঠন করা।’ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি আলহাজ মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসা, দোয়া ও সহযোগিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটি মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত সুন্দর সমাজ গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারব, ইনশাল্লাহ।