সিলেটের বিভিন্ন স্থানে মাটি ও বালুচাপা অবস্থায় আরও ৪৫ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত বৃহস্পতিবার এ পাথর উদ্ধার করা হয়। আর এ নিয়ে লুণ্ঠিত প্রায় এক লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হলো। উদ্ধার করা পাথর গতকাল দিনভর সাদাপাথর পর্যটন এলাকাসহ ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গতকাল রাতে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথরের প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলোও প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা, মিডিয়া সেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, গতকাল শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা পাথর পুনরায় সাদাপাথরে ফেলা হচ্ছে। বুধবার মধ্য রাত থেকে শুরু করে গতকাল শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সবমিলিয়ে প্রায় এক লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথর অভিনব পন্থায় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কলাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। এ সময় মাটি ও বালুচাপা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ পাথর জব্দ করা হয়। জব্দ করা সাত ট্রাক পাথর ধলাই নদীতে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এই পাথরও সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র ও ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কলাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা, জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) মাহমুদ আশিক কবির বলেন, কলাবাড়ি এলাকায় স্টোন ক্রাসার মালিকরা মাটি ও বালুর নিচে পাথর মজুত করে রেখেছিলেন। সেখান থেকে উদ্ধার করা ৭ ট্রাক পাথর সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে ফেলা হয়েছে। আরও আনুমানিক ৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা অবস্থায় রয়েছে। আজ সেগুলোও সাদাপাথরে ফেলা হবে।