বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৩ আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন স্থানীয় সাত নেতা। তারা হলেন-বিএনপির ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ, ড্যাব নেত্রী ডা. জাহানারা লাইজু, মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুস সত্তার খান ও আহ্বায়ক ইসরাত জাহান কচি, বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ খান, সাবেক ছাত্রদল নেতা জে এম আমিনুল ইসলাম লিপন ও বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু। এ ছাড়া জামায়াতের প্রার্থী সংগঠনের বরিশাল মহানগর আমির জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সংগঠনের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
বিএনপির ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘১৭ বছর দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলা পরিচালনাসহ জামিনের ব্যবস্থা এবং কারান্তরীণ নেতা-কর্মীদের অর্থ সহায়তা করেছি। তরুণ আইনজীবী হিসেবে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী।’ ড্যাব নেত্রী ডা. জাহানারা লাইজু বলেন, আমার বাবা মোশাররফ হোসেন মংগু বরিশাল-৩ আসনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে চারবার প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এলাকার উন্নয়ন করেছেন। তার আগে আমার চাচা মরহুম সিরাজুল হক মন্টু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং তিনিও নির্বাচিত হয়েছিলেন এই আসন থেকে। গণ অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তাও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। জামায়াতের প্রার্থী জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, দলীয় প্রার্থী হিসেবে জনগণের কাছে গিয়ে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
সেলিমা রহমান, জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ খুদে বার্তা ও কল পেয়েও সাড়া দেননি।