বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির মন্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, এটা তাদের (ভারতের) বিষয় নয়। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন দেখতে আগ্রহী ভারত, যেখানে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ভারত। আগামী নির্বাচনের পর জনগণের সমর্থন নিয়ে যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ভারত।
ভিসা জটিলতা প্রসঙ্গে গতকাল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা বিভিন্ন দেশে ভিসা না পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভিসা নিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের রেপুটেশনের প্রশ্নে ভিসা জটিল হয়ে গেছে, আমাদের ঘর গোছাতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় তিন নরডিক রাষ্ট্রদূতের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটাকে ব্যক্তির বাসায় বৈঠক হিসেবে দেখা উচিত। রাষ্ট্রদূতরা একজন ব্যক্তির বাসায় গিয়েছেন।
যদি তিনি (সাবের হোসেন) অপরাধী হতেন, তাহলে তাকে অবশ্যই হেফাজতে রাখা হতো। এমন কিছু হয়নি। আর রাষ্ট্রদূতরা যে কারও বাসায় যেতে পারেন। সেখানে তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রদূতরা গিয়েছেন- এটি নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। ফিলিস্তিনের সমর্থনে জাতিসংঘে সভাপতিত্বের জন্য বাংলাদেশ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের ৮১তম সাধারণ অধিবেশনের সভাপতির পদে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিন পরস্পর মুখোমুখি হবে না। এ বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশের যত আগ্রহ, ফিলিস্তিনের কিন্তু এত আগ্রহ নেই। ফিলিস্তিন এটা নিয়ে এতটা চিন্তিত না। নির্বাচন হবে ২০২৬-এর জুন মাসে। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ এবং ফিলিস্তিন পরস্পর মুখোমুখি হবে না।
রাষ্ট্রপতির চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। চিঠিটা আমি পেয়েছি, অবশ্য দেরিতে; তার অনেক আগেই এটা সামাজিক মাধ্যমে চলে এসেছে।