খুলনার শহরতলি বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-১ আসনে এবার বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয় নেতা। তাঁরা হলেন আমীর এজাজ খান, জিয়াউর রহমান পাপুল, পার্থ দেব মণ্ডল, অ্যাডভোকেট গোবিন্দ হালদার, এস এম শামীম কবির ও তৈয়েবুর রহমান। এরই মধ্যে জামায়াত থেকে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি শেখ আবু ইউসুফ। এ ছাড়া ভোটের মাঠ চষছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা আবু সাঈদ ও গণঅধিকার পরিষদের জাহিদুর রহমান জাহিদ।
হিন্দু অধ্যুষিত এ আসনটিতে ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রফুল্ল কুমার ম ল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা একচেটিয়া বিজয়ী হন। এবার ২৯ বছর পর আসন পুনরুদ্ধারে মাঠে নেমেছে বিএনপি। ফলে সম্ভাব্য প্রার্থীরা সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি শুভেচ্ছা পোস্টার টাঙিয়ে এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। খুলনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন সাবেক জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পার্থ দেব ম ল, সাবেক ছাত্রদল নেতা অ্যাডভোকেট গোবিন্দ হালদার, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম শামীম কবির ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক তৈয়েবুর রহমান। অন্যদিকে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে প্রচারে আগেভাগে সক্রিয় হয়েছেন সংগঠনের বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির শেখ আবু ইউসুফ। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা আবু সাঈদ, গণঅধিকার পরিষদের জাহিদুর রহমান জাহিদও প্রচারে রয়েছেন। শীর্ষ পর্যায় থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন দাবি করে আমীর এজাজ বলেন, ‘হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলমান সবাইকে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মানুষের জন্য কাজ করছি। সবাই বিশ্বাস করে আমি এমপি হলে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করব।’ জিয়াউর রহমান পাপুল বলেন, ‘এখানে ৩৮-৩৯ শতাংশ মানুষ সনাতন সম্প্রদায়ের। আমি তাদের বলেছি আপনারা এখানকার মাটি-মানুষের সন্তান। সবার মধ্যে ঐক্য থাকলে আগামীর পথচলা সহজ হবে। আমি আসার পর মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে।’ পার্থ দেব ম ল বলেন, ‘ভোটের হিসাবে এ আসনে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাধান্য রয়েছে। আমি তাদের সন্তান হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিলে অন্য সবার থেকে জয়ী হওয়া আমার জন্য সহজ হবে।’
এদিকে জামায়াতের বিভিন্ন কর্মকাে হিন্দুরাও উৎসাহ দেখাচ্ছেন দাবি করে জামায়াত প্রার্থী শেখ আবু ইউসুফ বলেন, ‘বিগত অনেক সরকারই জামায়াতের নামে বিভিন্ন তকমা দিয়ে হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাছ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াস চালিয়েছে। মানুষ এখন সেই ভুল বুঝতে পারছে এবং জামায়াতকে গ্রহণ করছে।’