মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নে করা রিট খারিজ করে দেওয়া হাই কোর্টের রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়েছে। গত ৭ মে বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মো. জামিলুর রহমান বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চেম্বার আদালতের এই আদেশের অনুলিপি সোমবার পেয়েছি। আদেশে হাই কোর্টের রায়টি আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ফলে স্থগিতের এই আট সপ্তাহ প্রশাসকের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ২১ আগস্ট এক বছরের জন্য নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অভ্যন্তরীণ আদেশে বলা হয়, ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা ‘নগদ’-এ চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে এক বছরের জন্য প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আনোয়ার উল্লাহ, পলাশ মণ্ডল, আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপপরিচালক চয়ন বিশ্বাস ও আইয়ুব খানকে সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওই সময় নগদের আগের পর্ষদও ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর গত বছর ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করেন নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম। রিটে প্রাথমিক শুনানির পর ১৭ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট রুল জারি করেন। এ রুলে চূড়ান্ত শুনানির পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট রিটটি ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে খারিজ করে দেন।
রায়ে আদালত বলেন, নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট। আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক নগদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। হাই কোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে সাফায়েত আলম আপিল বিভাগে আবেদন করলে ৭ মে তা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন শুনানির পর চেম্বার আদালত হাই কোর্টের রায়টি আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।