প্রেমিকের দায়ের কোপে দিতি (১৮) নামে এক নববধূ নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক প্রেমিকের নাম রহুল আমিন (২৫)। রহুল আমিন পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। পুলিশ বলছে, দিতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রহুলের। সপ্তাহখানেক আগে অন্য একজনের সঙ্গে দিতির বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতির বাবার বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে দা দিয়ে কোপ দেয় রহুল। স্থানীয়রা অনেকেই বলেছেন, রহুল নেশায় আসক্ত যুবক। জানা গেছে, কালিনগর মহল্লার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে রহুলের সঙ্গে দিতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১০ দিন আগে রহুল ট্রাক নিয়ে ঢাকায় যান। এর মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে অন্য একজনের সঙ্গে দিতির বিয়ে হয়ে যায়। রহুল বাড়িতে এসে দিতির বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন। এদিকে দিতির স্বামী দিতিকে বাবার বাড়ি রেখে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে ঢাকায় কর্মস্থলে চলে যান। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘাতক প্রেমিক রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতির বাড়িতে যায়। রাহেলা দিতিকে ডাকলে দিতি দরজা খুলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই রহুল আমিন দা নিয়ে দিতির মাথায় কোপ দেন। দিতি চিৎকার দিয়ে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় বাড়ির লোকজন দৌড়ে এলে রহুল পালিয়ে যান। পরে স্বজনরা দিতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নকলা এলাকায় দিতির মৃত্যু হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘাতক রহুল আমিনের ভাবি রাহেলাকে আটক করে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে ধরা দিয়ে হত্যার কারণ বলেন।
সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল আফরোজা নাজনীন বলেছেন, ঘাতক রহুল ওই নববধূকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আর হত্যার কারণ বলেছেন, ওই মেয়েটির সঙ্গে তার প্রেম ছিল। রহুলকে না জানিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় দিতির ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।