শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় মাইক্রোবাস খাদে পড়ে বাবা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের জামতলা এলাকার শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কে শনিবার গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান। নিহতরা হলেন- শরীয়তপুর সদর উপজেলা আংগারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাষাচর গ্রামের আবুল হোসেন বেপারীর ছেলে, শরীয়তপুর জজ কোর্টের আইনজীবী রাশিদুল হক রাশেদ (৪২) ও তার দুই বছরের মেয়ে মাইশা অক্তার মিম।
ওসি জানান, ঢাকার উত্তরা থেকে শরীয়তপুরের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসটি নিজেই চালাচ্ছিলেন রাশেদ। গাড়িতে তার স্ত্রী মিলি আক্তার, দুই মেয়ে মেবিন আক্তার, মাইশা অক্তার মিম ও গাড়িচালক কামরুল ইসলাম ছিলেন। পথে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে পানিতে ডুবে যায়। খবর পেয়ে রাত ২টা ৩০ মিনিটে নড়িয়া থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাশেদ ও তার মেয়ে মিমকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। গাড়িতে থাকা বাকিদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান ওসি হাফিজুর। নিহতের স্ত্রী মিলি আক্তার বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে আমরা রওনা দেই। আমার স্বামী গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পথে তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাড়ি খাদে পড়ে যায়। এ সময় আমার স্বামী ও এক মেয়ে মারা যায়।’চালক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে শনিবার রাত ১১টার দিকে আমি উত্তরা আসি। কক্সবাজার থেকে উত্তরা পর্যন্ত আমিই গাড়ি চালাচ্ছিলাম। পরে সেখান থেকে স্যার নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ভাঙা রাস্তার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
