ব্রিটেনে আসার জন্য সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে গভীর রাতে ডুবে মারা গেছেন তিন শরণার্থী। জীবিত উদ্ধার হয়েছেন ৪৪ জন।

ঘটনাটি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঘটেছে। কেন্টের ডোভার উপকূলে সমুদ্রে ডোবা শরণার্থীদের উদ্ধার করতে গভীর রাত থেকেই এইচ এম কোস্টগার্ড, নেভি, বর্ডার ফোর্স ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। মাইনাস ৪ ডিগ্রিতে ঘটা এ দুর্ঘটনাকে গণমাধ্যম ‘মেজর ইনসিডেন্ট’ বলছে। কেন্টের অ্যাশফোর্ড এলাকার হাসপাতালগুলোর ইমারজেন্সি সার্ভিস খালি করার জন্য বলা হয়েছিল। এই উদ্ধারকাজে ফ্রান্সের কোস্টগার্ডও কাজ করছে।

প্রচ- ঠান্ডার মধ্যে শরণার্থী আসার ঢল থামছে না। এমন একসময় এই দুর্ঘটনা ঘটল, যার মাত্র আগের দিন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এই শরণার্থীদের ঢল থামাতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা পার্লামেন্টে জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি  দিয়েছেন, ২০২৩ সালের মধ্যেই আরও বেশি জনবল দিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করা আবেদনকারীদের জট শেষ করবেন। শুধু আলবেনিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের আবেদন ত্বরান্বিত করার জন্য ৪০০ দক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন এক চুক্তির আওতায় আলবেনিয়ার বিমানবন্দরেও ব্রিটিশ অভিবাসন কর্মকর্তা বসানো হবে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে সাম্প্রতিক শরণার্থী সমস্যা নিয়ে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঋষি সুনাক বলেন, ৭০০ কর্মী নিয়োগ করে ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়া ঠেকানোর প্রক্রিয়া চলছে। তিনি সরকারের খরচ কমাতে হোটেল-সুবিধা বাতিল করে ১০ হাজার শরণার্থীর জন্য হলিডে পার্ক, প্রাক্তন স্টুডেন্ট হলের মতো স্থাপনা ব্যবহার করবেন বলে জানান। এই মুহূর্তে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩৭৭ জন শরণার্থীর আবেদন অপেক্ষমাণ রয়েছে। এদিকে নতুন আইন এনে অবৈধভাবে ব্রিটেনে প্রবেশের পথ সংকুচিত করা হচ্ছে। নতুন আইনে ব্রিটেনে অবৈধভাবে ঢুকলে চার বছর জেল দেওয়া হবে প্রথমেই। এরপর নিরাপদ দেশ, যেমন ফ্রান্স বা ইউরোপের অন্য দেশ হয়ে ব্রিটেনে ঢুকলে তাদের আবার সেই দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ছাড়া আশ্রয়ের আবেদন বছরে ২০ হাজারের বেশি গ্রহণ করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে।