ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি সোনারতরী-৩ লঞ্চের আসনে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি কেন্দ্র করে যাত্রী বাবু আহমেদ ও তার সহযোগীরা সুমন গাজী (৩৩) নামে আরেক যাত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ।
গতকাল ভোর সোয়া ৫টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে লঞ্চ থেকে চাঁদপুর ঘাটে নামলে ঘাটের বরিশাল হোটেলের মোড়ে বাবু ও তার সহযোগীরা সুমনকে ছুরিকাঘাত করেন। ফার্নিচারের রংমিস্ত্রি সুমন গাজী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচ-ী গ্রামের স্বপন গাজীর ছেলে।
এ ঘটনায় গ্রেফতাররা হলেন মতলব চেঙ্গারচর পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা এ কে এম সাহাবুদ্দিনের ছেলে বাবু আহমেদ ওরফে সুমন (২২), চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদীর হাসান আলীর ছেলে সবুজ প্রধানিয়া (২৩), একই এলাকার খোকন মোল্লার ছেলে সাজ্জাদ মোল্লা (২৩), শহরের ট্রাক রোড এলাকার নাছির উদ্দিন মাঝির ছেলে সাজ্জাদ হোসেন আপন (২২) ও রহমতপুর আবাসিক এলাকার বিল্লাল খানের ছেলে সবুজ খান (২১)।
নিহত সুমনের বড় ভাই শরীফ গাজী বলেন, ‘আমার ভাই রাতে লঞ্চে ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসছিল। লঞ্চের আসনে বসা নিয়ে বাবু নামে এক যাত্রীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। লঞ্চে থাকা অবস্থায় বাবু তার সহযোগীদের ফোন করে ডেকে ঘাটে আনে। রাত সাড়ে ১১টায় আমার ভাই লঞ্চ থেকে নামলে তারা সাত-আট জন মিলে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে সুমনকে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে তার মৃত্যু হয়।’
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।