জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেছেন, আইএমএফের এই ঋণ দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমাদের নগদ ডলারের প্রয়োজন ছিল। সেটাই আমরা পাচ্ছি। এটা সরাসরি রিজার্ভে এসে যুক্ত হবে। বৈশ্বিক এই সংকটের কারণে রপ্তানি আয় কিংবা রেমিট্যান্স নিয়েও তো নানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কতটুকু আয় হবে, কতটুকু আসবে এসব নিয়েও কথা রয়েছে।
কিন্তু আইএমএফের এই ঋণের অর্থ নিশ্চিতভাবে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা পেয়ে যাব। যদিও এই ঋণের বিপরীতে কতগুলো শর্ত বা সংস্কারমূলক কর্মসূচি রয়েছে। সেগুলো করতে গিয়ে সরকারকে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়াতে হচ্ছে। ব্যাংক খাতের সংস্কার করতে হবে। আর্থিক কাঠামোতেও পরিবর্তন আনতে হবে। তবু সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে এক ধরনের গতির সঞ্চার হবে। এ ছাড়া অন্য উন্নয়ন-সহযোগীদের পাশাপাশি বহির্বিশ্বের কাছে, বিনিয়োগকারীদের কাছে এক ধরনের ইতিবাচক বার্তা চলে যাবে। আইএমএফ যেহেতু এখানে একটা কর্মসূচি চালু করেছে তাই বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এগিয়ে আসবে। তিনি বলেন, অন্য উন্নয়ন-সহযোগীরা বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক ঋণ দিয়ে থাকে। সেটি ওই প্রকল্পের বাইরে ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু আইএমএফের এই ঋণের অর্থ সরাসরি রিজার্ভে যুক্ত হবে। আর এটি ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ভারসাম্যের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, এ মুুহূর্তে আমাদের অর্থনীতির জন্য এটি একটি উত্তম ঋণ কর্মসূচি, যার খুবই প্রয়োজন ছিল। এটি তিন বছর মেয়াদে চলতে থাকবে। সুদের হারও কম। পরিশোধের জন্যও লম্বা সময় পাওয়া যাবে।