শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

দৃষ্টিনন্দন স্কুলের ছাদবাগান

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দৃষ্টিনন্দন স্কুলের ছাদবাগান

শিক্ষার্থীদের কাছে জীববৈচিত্র্যের পরিচিতি তুলে ধরতে গড়ে তোলা হয়েছে স্কুলের ছাদবাগান। যা শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। প্রায় তিন শতাধিক দেশি-বিদেশি ফুল ও ফলের এই ছাদবাগান গড়ে তুলেছেন বারাই আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সপ্তাহে এক দিন একেক ক্লাসের শিক্ষার্থীদের সুবিধাজনক সময়ে ছাদে ফুল ও ফলের ওপর ক্লাস করানো হয়। শুধু ছাদ নয়, বিদ্যালয়টির পুরো ক্যাম্পাস, অফিস ও ক্লাসরুমগুলো পরিপাটি আর সারি সারি নানা রকমের ফুল ও ফলের গাছে জড়ানো।

দিনাজপুর-ফুলবাড়ী মহাসড়কের পাশে বারাই আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার এবং সুদৃশ্য জাতীয় ফুল শাপলা। ছাদে যেতে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে চোখে পড়বে ঝুলন্ত লতা। ছাদে দেখা যাবে- পিটুনিয়া, ভারবেনা, ক্যালেন্ডুলা, পেঞ্জি, স্টক, এস্টার, চন্দ্রমল্লিকা, গ্যাজানিয়া, এনকা গাঁদা, ফ্লক্স, হলিহক, বারোমাসি ফুল, নীলমণিলতা, গোল্ডেন শাওয়ার, সিলভার কুইন, জারবেরা, রুবেলিয়া, রুসেলিয়া, কৈলাস সুন্দরী, মানি প্লান্টসহ নানা রকম ফুল। একই সঙ্গে বারোমাসি কাঁঠাল, কাটিমন আম, লেবু, কুল, সফেদা, বেল, কলা, কামরাঙা, আনার, কমলা, মাল্টা, ড্রাগন, আমড়া, লাউ, ক্যাপসিকাম, সাদা এলাচসহ বিভিন্ন প্রকারের ফল গাছ। ২ হাজার ৪০০ স্কয়ার ফুটের ছাদে দৃষ্টিনন্দন ফুল আর ফলের বাগান এটি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে ফুলের বাগান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর না থাকায় সেই বাগান রক্ষা করতে পারিনি। পরবর্তীতে স্কুলের দ্বিতল ভবন নির্মাণের পর প্রধান শিক্ষকের প্রচেষ্টায় এবং শিক্ষকদের উদ্যোগে এ ছাদবাগান করা সম্ভব হয়। প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রায় বলেন, অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল একটি বাগান করব। কিন্তু বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর না থাকায় দুবার বাগান করেও টিকাতে পারিনি। পরবর্তীতে নতুন ভবন হওয়ায় টিকাতে পেরেছি। সপ্তাহে একেক দিন একেক ক্লাসের শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে ছাদে নিয়ে ফুল ও ফলের ওপর ক্লাস করানো হয়। ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসাম্মাৎ হাসিনা ভুইয়া বলেন, বারাই আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজে আমি অভিভূত। উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও তাদের দেখে এ কাজটি করতে পারেন।

 

সর্বশেষ খবর