শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচন নিয়ে সরগরম খুলনা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

নির্বাচন নিয়ে সরগরম খুলনা

নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচন চলতি বছরের মে-জুন মাসে হওয়ার কথা। তবে এরই মধ্যে মেয়র পদে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সভা-সমাবেশে নৌকায় ভোট চেয়ে সবচেয়ে বেশি তৎপর রয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি কেন্দ্রের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ বাড়ছে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের।  এর বাইরে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা মেয়র পদে প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাদের মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণায় জনসম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে চাইছেন প্রার্থীদের অনেকেই। এখন পর্যন্ত খুলনায় মেয়র পদে যাদের নাম আলোচিত হচ্ছে তারা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাপা জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু। আর বিএনপি নির্বাচনে গেলে প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন মহানগর সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং বর্তমান মহানগর আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা।  জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ মে সর্বশেষ কেসিসি নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। এর আগে ২০১৩ সালের নির্বাচনে তালকুদার আবদুল খালেককে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এবারের নির্বাচনে আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশের পাশাপাশি কেন্দ্রভিত্তিক ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ চলছে। মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘খুলনার উন্নয়নে আমি কাজ করছি। দলের মনোনয়ন বোর্ড এখনো মেয়র পদে সিদ্ধান্ত দেয়নি। তবে শরিক দলগুলো সিটি মেয়র পদে আমাকেই সমর্থন দিয়েছে। আমি খুলনাকে সুন্দর নগরী হিসেবে উপহার দিতে চাই। তবে এই কাজগুলো শেষ করতে অনেকটা সময় লাগবে। এ কারণে আবারও নগরবাসীর সমর্থন প্রয়োজন।’ নির্বাচন নিয়ে কৌশলী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। সরকার পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। তবে সাবেক মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘জনগণ চায় আওয়ামী লীগ যেন ফাঁকা মাঠে ওয়াকওভার না পায়। নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে কর্মীদের চাপ রয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নেওয়া উচিত। তাতে এই সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশন যে ফেয়ার ইলেকশন করতে পারে না এটা বলতে পারব। তবে এখনো সময় আছে। আমরা ঢাকায় কথা বলব। খুলনায় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলব। তারপরই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর সভাপতি মুফতি আমানউল্লাহ বলেন, সিটি নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে। জাপা মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় থাকা জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা করা হবে। যদি নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকে, তাহলে আমি নিজে প্রার্থী হব। অন্যথায় বিকল্প কেউ প্রার্থী হবেন।

সর্বশেষ খবর