বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মিষ্টিকুমড়া যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

মিষ্টিকুমড়া যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়

ধান-আলুর জন্য বিখ্যাত জয়পুরহাটে এবার মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। বিঘাপ্রতি মাত্র ৩ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টিকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে লাভ থাকছে প্রায় ১০ গুণ। জেলার অনেক কৃষক মিষ্টিকুমড়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সরেজমিন জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলায় এ বছর প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। সারা বছর কম-বেশি এর চাষ হলেও আলু রোপণের পর এর চাষ হয় বেশি। কৃষকরা আলু রোপণের কয়েকদিন পর সেই জমিতে মিষ্টিকুমড়ার বীজ রোপণ করেন। তাই জমিতে নতুন করে চাষ করতে হয় না। আলু তোলার পরপর দুই-একবার সার ও সেচ দিলেই কুমড়ার ফলন আসতে শুরু করে। এরপর আরও দুই মাস পর্যন্ত কুমড়া পাওয়া যায়। জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি এ ফসলের চাষ হয়েছে আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকায়। খুচরা বাজারে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে কুমড়া বিক্রি হলেও কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করছেন মাত্র ৯-১০ টাকা দরে। গত বছর ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার প্রায় ৫-৬ টাকা কম। প্রতি হেক্টরে প্রায় ২০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে মিষ্টিকুমড়া পাইকারি কিনছেন। যা ঢাকা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, গত বছরের চেয়ে এবার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। এর কারণ মিষ্টিকুমড়ার বীজ। তারা বলছেন, একটি কোম্পানির কাছ থেকে নেওয়া ওই বীজ, ফলন আসার সময় গাছ মরতে শুরু করে। এতে ফলন কম হয়েছে। আক্কেলপুর উপজেলার পূর্ব মাতাপুর গ্রামের কৃষক আফজাল বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে প্রথমে আলুর আবাদ করেছিলাম। আলুর সঙ্গেই মিষ্টিকুমড়ার বীজ রোপণ করেছিলাম। আলু তোলার পরপর মিষ্টিকুমড়ার ফলন আসে। এক বিঘায় ২৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। বিঘায় ২-৩ হাজার টাকা খরচ হয়।’ পাঁচবিবি উপজেলার কদুবাড়ী গ্রামের কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, এই ফসলে একবার সেচ ও কিছু সার দিতে হয়। এতে শ্রমিকসহ সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার থাইল্যান্ড ও ব্যাংককের মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছি। কয়েকদিন আগে ৮ টাকা কেজি বিক্রি করেছি, এখন বাজারদর ১০ টাকা। জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন জানান, জয়পুরহাট জেলায় এবার প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়া চাষ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর