বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

নদীর চরে মজনুর তরমুজবাড়ি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

নদীর চরে মজনুর তরমুজবাড়ি

নদীর বালুচরে তরমুজবাড়ি। এক সময়ের খরস্রোতা আত্রাই নদীর চরে এখন চলছে তরমুজসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ। এখন নদীর চরও অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। চর থেকে কেউ বালু উত্তোলন করছে আবার কেউ চরে বিভিন্ন ফসলের চাষও করছে। এ চরে কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই বাণিজ্যিকভাবে গ্রেসিওসা জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মজনু। গতবার এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে দেড় লাখ টাকা আয় করেছেন। তরমুজ চাষে সফলতায় ওই অঞ্চলের সবাই ফিরিঙ্গির ঘাট এলাকার চরটিকে এখন তরমুজ বা কুমড়াবাড়ি বলেই ডাকেন। নদীর দুই পারের চরেই চলছে তরমুজসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ। মজনু দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউপির শাহপাড়া আবাসন এলাকার অধিবাসী। আত্রাই নদীর চরে চাষ করেন এবং নিজেই সে তরমুজ বিক্রি করেন। এতেই তার সংসারে স্বচ্ছলতা এসছে। আত্রাই নদীর চরে এবার পাঁচ বিঘা জমিতে তরমুজসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করেছেন। বাণিজ্যিকভাবে এ চাষে ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এরই মধ্যে ৩৬ হাজার টাকার রসুন-পিঁয়াজ, ৯০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন এবং ৪০ মণ মিষ্টি কুমড়া বিক্রির অপেক্ষায় আছে। আরও ৬০ মণ তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। মজনু জানান, খরস্রোতা আত্রাই নদীর এ চরে কার্তিক মাস থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত ভালোভাবে চাষ করা যায়। সামান্য পরিচর্যা ছাড়া কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। উৎপাদিত তরমুজ, কুমড়া দিনাজপুরের আশপাশের জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকায় পাইকারদের কাছে বিক্রি করি। আরও দুই মাস তরমুজ, কুমড়া বিক্রি করতে পারব। কৃষি বিষয়ে তেমন কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। তবে ধান চাষ করি। কিন্তু তরমুজ, কুমড়া চাষে বেশি লাভবান হওয়ায় এখন কুমড়া চাষ করি।

সর্বশেষ খবর